| বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | প্রিন্ট
এস.এম.জুবাইদ, পেকুয়া : শীতের ভরা মৌসুমে ফাল্গুন মাসের শুরুতে গাছে গাছে আমের মুকুল ছড়াচ্ছে ঘ্রাণ। কক্সবাজারের পেকুয়ার বিভিন্ন জায়গায় বিপুল পরিমাণে আমের মুকুলের সমারোহ ঘটছে। মুকুলের ভাড়ে গাছের ডাল-পালা নুয়ে পড়ছে। ছোট-বড় গাছ গুলোতে বেশী মুকুল আসতে শুরু করছে। আমের মুকুল যে পরিমাণে আসছে অনেকে মনে করছে এবার আমের ফলন বেশী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার পেকুয়া সদর, শিলখালী , বারবাকিয়া ,পাহাড়ি এলাকা টইটং, ইউনিয়নসহ অন্যান্য গ্রাম গুলোতে মুকুলে ছেয়ে গেছে। হলুদ বর্ণের মুকুল সূর্যের সোনালী আলোয় যেনো অপরূপ রঙ ছড়াচ্ছে। মুকুলের সমারোহ দেখে বাড়ির লোকজনের আনন্দ বইছে। অনেকেই মুকুল রক্ষা করার জন্য কৃষি অফিসে গিয়ে কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিচ্ছে। আবার কেউ কেউ গাছের যত্নে মনোযোগী হয়ে উঠছেন। আমের মুকুল আসছে তাই এখন মৌমাছির গুঞ্জন। মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণ যেন জাদুর মতো কাছে টানছে।
কয়েকজন বাগান মালিকরা জানান, বর্তমানে আবহাওয়া অনুকুলে রয়েছে। সপ্তাহ খানেক আগে থেকে বাগানের আম গাছে মুকুল আসা শুরু করেছে। মুকুল আসার পর থেকে গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করছি এবং কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ নিয়ে বালাইনাশক স্প্রে করছি।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, আম গাছে রোগ হলে টিএসপি ও এমপি সার দিতে হবে দুই-তিন বছর বয়সের গাছে ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম, চার-পাঁচ বছর বয়সের গাছে ৩০০ থেকে ৩৫০ গ্রাম, ছয়-সাত বছর বয়সের গাছে ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম, আট-নয় বছর বয়সের গাছে ৫০০ থেকে ৮০০ গ্রাম এবং ১০ বছরের ঊর্ধ্বে ৮৫০ থেকে এক হাজার ২০০ গ্রাম প্রতি গাছে এ গুলো ব্যবহার করতে হবে। ফুল ফোটার সময় মেঘলা ও কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া থাকলে পুষ্পমঞ্জরিতে পাউডারি মিলডিউ ও অ্যানত্রাকনোজ রোগের আক্রমণ হতে পারে। তাই রিপকর্ড এবং কেবিএস জয় ব্যবহার করতে পারে।
উপজেলা উপ-সহকারী অফিসার সাইদুল ইসলাম জানান, মুকুল আসার পর নিয়মিত পানি ও অন্যান্য পরিচর্যা করতে হবে। এ সময় বাগানে হপার এবং ফুদকী পোকা গুলো গাছের বাকলে লুকিয়ে থাকে। এ ধরনের পোকা খুব বেশী দেখা দিলে কীটনাশক স্প্রে করতে হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার তপন কুমার রায় জানান, মুকুলের যথাযথ পরিচর্যা না করলে মুকুল ঝরে পড়ে আমের ফলনে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আম গাছে ফুল আসার ১৫ দিন আগে পর্যাপ্ত সেচ দিতে হবে। ফুল ফোটার সময় মেঘলা ও কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া থাকলে বিভিন্ন রোগের আক্রমণ হতে পারে।
Posted ১৫:৩০ | বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin