| বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ | প্রিন্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা: রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত দেশের নিবন্ধিত শীর্ষ রাজনৈতিক দলগুলোর কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও এসব দলের চেয়ারপারসন ও শীর্ষ নেতাদের কার্যালয়-বাসভবন পরিদর্শন করে উঠে এসেছে গণতান্ত্রিক অধিকারের বিষয়ে তাদের উপর আইন-শৃংখলা বাহিনী মারাত্মক হস্তক্ষেপের তথ্য।
সরকারি দল ও বিরোধী দলের বুঝে তাদের সঙ্গে নিরাপত্তার নামে আইন-শৃংখলা বাহিনী করছে এক ধরনের বৈষম্যমূলক আচরন, যা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকারের উপর একটি স্পষ্ট হস্তক্ষেপ।
সোমবার প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিদর্শন করে দেখা গেছে, কার্যালয়ে কোনো নেতাকর্মীর উপস্থিতি ছিল না, এরপরও সেখানে পুলিশের কড়া প্রহরা। কার্যালয়ের ঠিক সামনে নিরাপত্তা বাহিনীতো অবস্থান করছেই, সেই সঙ্গে অত্যাধুনিক রাইড কার এবং পুলিশ ভ্যানও রয়েছে। খবর নিয়ে জানা গেছে, এর আগে নিরাপত্তা বাহিনীর ধরপাকড় ও কয়েকটি অভিযানের পর থেকে প্রতিদিন এভাবেই জনশূন্য থাকে বিএনপির নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়াটি। একই চিত্র উঠে এসেছে অপর বিরোধীদল জাতিয় পার্টির কার্যালয় ও তাদের শীর্ষ নেতাদের বাসভবন-অফিস ঘুরে। দেখা গেছে, জাতীয় পার্টির তোপখানা রোডস্থ কার্যালয় ঘিরে পুলিশের কড়া প্রহরা। তবে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ছিল না বললেই চলে।
প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, দেশের রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন কেন্দ্রীয়, মহানগরী, জেলা ও উপজেলা কার্যালয়গুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কোথাও কোথাও এসব অফিসের আসবাবপত্র, নথিপত্র, কম্পিউটার সামগ্রী, বই-পুস্তক প্রভৃতি জব্দ করে নিয়ে গেছে পুলিশ। বিভিন্ন মেস ও ছাত্রাবাসগুলো থেকে কেবল সন্দেহবশত উচ্ছেদ করা হয়েছে শিক্ষার্থীদের। তাদের অবিরাম তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ানো হচ্ছে। মনে হচ্ছে, এরা দেশের কোন বৈধ নাগরিকই নয়। কোন কোন স্থানে ক্রসফায়ারের মাধ্যমে হত্যাকা-ও চালানো হচ্ছে। জিহাদী বই নাম দিয়ে অসংখ্য লাইব্রেরি-পাঠকক্ষ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মিছিল-মিটিং, মানববন্ধন, কুরআন ক্লাশ, তাফসির মাহফিল, ওয়াজ মাহফিল এমনকি গায়েবানা জানাযাসহ সকল উন্মুক্ত কার্যক্রমে পুলিশ হস্তক্ষেপ করে বন্ধ করে দিয়েছে। কোচিং সেন্টার, মেধা বিকাশের কার্যক্রমসমূহ এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পর্যন্ত হানা দিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। যে কোন একটা ছোটখাটো মিছিল বের করলেই আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ঝাঁপিয়ে পড়ছে এবং প্রাণ ও রক্ত ঝরাচ্ছে। বিরোধী দলের বসতবাড়ি বুলড্রোজার দিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট ও আগুন ধরিয়ে দেয় আইন-শৃংখলা বাহিনী । এর প্রতিবাদ করতে গেলে সেই কর্মসূচিতেও বাধা দেয়া হচ্ছে। পুলিশ এসব ক্ষেত্রে অবিরাম গুলী বর্ষণ করা ছাড়াও মুড়ি-মুড়কির মতো টিয়ারশেল নিক্ষেপ, সাউন্ড গ্রেনেড প্রভৃতি নিক্ষেপ করা হচ্ছে।
Posted ০০:৪২ | বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin