| বৃহস্পতিবার, ০৮ নভেম্বর ২০১৮ | প্রিন্ট
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকায় তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ আল হারুন।
বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউ থেকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত বিশেষ অস্থায়ী আদালতে নেওয়ার পর বিএসএমএমইউ সম্মেলন কক্ষে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ আল হারুন বলেন, খালেদা জিয়া দীর্ঘ একমাস আমাদের এখানে ভর্তি ছিলেন। বয়স ও হাড়ক্ষয়জনিত অসুস্থতা রয়েছে তার। তিনি যেসব শারীরিক সমস্যা নিয়ে এসেছিলেন, আমরা চেষ্টা করেছি তাকে সবগুলো চিকিৎসা দিতে। বিভিন্ন ইনভেস্টিগেশনের রিপোর্টও আমরা ভালো পেয়েছি।
তিনি বলেন, পরবর্তীতে যদি প্রয়োজন হয়, কারাগার কর্তৃপক্ষ চাইলে অবশ্যই বিএসএমএমইউতে তার চিকিৎসা হবে।
এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরোনো কারাগারে ফিরিয়ে নেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ২৩ মিনিটে তাকে হাসপাতালের ৬১২ নম্বর কক্ষ থেকে বের করা হয়। পরে একটি কালো গাড়িতে করে কারাগারের পথে রওনা দেয়া হয়।
বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে খালেদা জিয়া কারাগারের আদালতে পৌঁছান। এসময় কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। পুলিশসহ আইনশৃংখলা বাহিনী ছিল তৎপর।
গত ৬ অক্টোবর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউ হাসপাতালে নেয়া হয়। এরপর থেকে কেবিন ব্লকের ৬১২ নম্বর কক্ষে ছিলেন তিনি।
গত ৪ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি ও চিকিৎসাসেবা শুরু করতে পাঁচ সদস্যের একটি বোর্ড গঠন করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডাদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। এরপর খালেদা জিয়াকে নাজিমুদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। গত ৩০ অক্টোবর এই মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। পূর্ব-পশ্চিম
Posted ১৩:২২ | বৃহস্পতিবার, ০৮ নভেম্বর ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain