| বৃহস্পতিবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৮ | প্রিন্ট
সবুজ ও পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ে তোলার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে ইশতেহার ঘোষণা করেছেন খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু। আগের দিন তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেক যেখানে ৩১টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেখানে বিএনপি নেতার প্রতিশ্রুতির সংখ্যা ১৯টি।
গত ২৪ এপ্রিল প্রতীক পেয়ে নির্বাচনী প্রচার শুরুর দুই দিন পর বৃহস্পতিবার মহানগরীর কেডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই ইশতেহার ঘোষণা করেন মঞ্জু।
২০১৩ সালের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা খালেকের মোকাবেলা করে ৬১ হাজার ভোটে জিতেছিলেন বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান মনি। কিন্তু তিনি তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির বেশিরভাগই বাস্তবায়ন করতে পারেননি।
আর এবার দলীয় প্রতীকে হতে যাওয়া প্রথম ভোটে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বদল না করলেও বিএনপি মনির বদলে আস্থা রেখেছে খুলনা সদর আসনে দলের সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুর ওপর।
মঞ্জু তার ইশতেহারে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তার মধ্যে তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন নাগরিকদের মতামতের ভিত্তিকে করপোরেশন পরিচালনায়।
মঞ্জু বলেন, তিনি ‘নাগরিক শাসন’ প্রতিষ্ঠা করবেন, ‘নাগরিক পরিকল্পনা’ প্রবর্তন হবে, নাগরিক মর্যাদা ও সম্মান সংরক্ষণ করবেন এবং গুণীজনদের সম্মাননা দেবেন।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় সহনশীল শহর হিসেবে খুলনাকে গড়ে তোলার ঘোষণা দেন মঞ্জু।
মেয়র হতে পারলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য সংরক্ষণ, শিশু-বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সহায়ক পরিকল্পনা, মাদকবিরোধী খুলনা গড়া, নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় সহায়তাও দেবেন বিএনপি নেতা।
নগরবাসীর স্বাস্থ্য উন্নয়ন, পার্ক, উদ্যান ও বৃক্ষ সংরক্ষণ, ক্রীড়া, বিনোদন ও শরীর চর্চার সুযোগ সৃষ্টি, ভেজালমুক্ত বিশুদ্ধ খাদ্য সরবরাহের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন মঞ্জু।
এর পাশাপাশি মহানগরীর সড়ক উন্নয়ন ও বর্জ্য-বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন, শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন, খালিশপুর শিল্পাঞ্চল পুনরুজ্জীবনের পদক্ষেপ, শিল্প ও কলকারখানা স্থাপনে সহযোগিতার অঙ্গীকারও করা হয় মঞ্জুর ইশতেহারে।
বাকি প্রতিশ্রুতিগুলো হলো: সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের উন্নয়ন, বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন রক্ষায় ভূমিকা গ্রহণ, নগর সম্প্রসারণে উদ্যোগ গ্রহণ।
ইশতেহার ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ২০ দলীয় জোটের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, জেলা বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা, সাধারণ সম্পাদক আমির এজাজ খান, জামায়াতে ইসলামীর জেলা সভাপতি ইমরান হোসাইন, মহানগর সদস্য সচিব শাহ আলম।
খুলনা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সাহারুজ্জামান মোর্তুজা, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সাখাওয়াত হোসেন, বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা মিডিয়া কমিটির আহ্বায়ক তারিকুল ইসলাম, সদস্য সচিব এহতেশামুল হক শাওন।
আগের দিন খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আবদুল।
তার ৩১ দফায় উল্লেখযোগ্য হলো নগর সরকার প্রতিষ্ঠা, জলাবদ্ধতামুক্ত নগরী গড়ার পাশাপাশি চাঁদাবাজি ও মাদক নির্মূলে পুলিশকে সহযোগিতা।
মঞ্জুর ইশতেহার ঘোষণার সময় তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী খালেক নগরীর মিরের ডাঙ্গা এলাকা থেকে শুরু করে ১ ও ২নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী প্রচারণা চালান।
আগামী ১৫ মে গাজীপুরের পাশাপাশি ভোট হবে খুলনা মহানগরেও। আগামী ডিসেম্বর বা জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের আগে এই ভোটকে মহাগুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই ভোটে দেশে দুই প্রধান দলের জনসমর্থনের একটি ইঙ্গিত পাওয়া যাবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
খুলনা ও গাজীপুর ছাড়াও ভোট হবে রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট মহানগরে। ঈদের পর এই ভোট হবে বলে জানানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে।ঢাকাটাইমস
Posted ১৪:২২ | বৃহস্পতিবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain