শনিবার ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোটা আন্দোলনের ৩ নেতাকে তুলে নেয়ার অভিযোগ

  |   সোমবার, ১৬ এপ্রিল ২০১৮ | প্রিন্ট

কোটা আন্দোলনের ৩ নেতাকে তুলে নেয়ার অভিযোগ

স্বাধীনদেশ অনলাইন : কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ছাত্রকে রাজধানীর চানখারপুল থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিরা একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা হলেন- কোটা আন্দোলনের প্লাটফর্ম সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল্লাহ নূর, রাশেদ খান ও ফারুক হাসান।

সোমবার দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে চানখারপুল থেকে তাদের একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে যুগান্তরকে জানান ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি সংবাদ সম্মেলনে করে।

ওই সংবাদ সম্মেলন থেকে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া চার মামলা দুদিনের মধ্যে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। হাসান আল মামুন জানান, সংবাদ সম্মেলনের সময় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পাশে হাকিম চত্বরে সাদা পোশাকে ৮-৯ ব্যক্তি মোটরসাইকেল নিয়ে অবস্থান করছিলেন। পরে সংবাদ সম্মেলন শেষে নুরুল্লাহ নূর, রাশেদ খান ও ফারুক হাসান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত তিন ছাত্রকে দেখতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে তাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

তিন ছাত্রকে তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে শাহবাগ থানায় যোগাযোগ করলে এসআই হাসান বলেন, এ ধরনের কোনো অভিযোগ এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে আসেনি।

এদিকে তুলে নেয়ার আগে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে রাশেদ খান বলেছিলেন, দৈনিক ইত্তেফাকে আমাকে জামায়াত-শিবির পরিচয় দিয়ে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সেখানে বলা হয়েছে, ২০১২ সালে সূর্যসেন হলের ৫০৫ নম্বর রুমে থাকতাম। কিন্তু আমি ২০১৩ সালে সেখানে থাকা শুরু করি। প্রতিবেদনে আমার বাবার নামও ভুল লেখা হয়েছে। পুরো প্রতিবেদনই মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভরা।

নুরুল্লাহ নূর বলেছিলেন- কোটা সংস্কার আন্দোলন করায় আমাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভিত্তিহীন মামলা দিয়েছে। দাবি সত্ত্বেও তা প্রত্যাহার হয়নি। আগামী দুদিনের মধ্যে সব মামলা প্রত্যাহার না হলে ছাত্রসমাজ আবার আন্দোলনে নামবে।

তিনি বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাবি মেনে নিয়েছেন। এটি সহ্য করতে না পেরে একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র করছে। আন্দোলনকারীদের বিএনপি-জামায়াত বানানোর অপপ্রচারে নেমেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। দেশকে অস্থিতিশীল করতেই তারা এ চক্রান্ত করছে।

তিনি আরও বলেছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির বাসভবনে কোনো সাধারণ শিক্ষার্থী হামলা করেনি। বরাবরের মতোই আমরা এ হামলায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

ফারুক হোসেন বলেছিলেন, আমরা অহিংস আন্দোলনে বিশ্বাসী। ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সেটিই করেছি। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণার দেয়ার পরই আমরা আন্দোলন থেকে সরে গেছি। অথচ আমাদের বিএনপি-জামায়াত বানানো হচ্ছে। ছাত্রসমাজকে বিতর্কিত করা হচ্ছে- এর চেয়ে আর লজ্জার কি আছে!

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেছিলেন, আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা। এবং আমি মহসীন হলে ছাত্রলীগের সহসভাপতি। আমি সাধারণ ছাত্রদের ব্যানারে এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। কেউ যদি আমাকে সন্দেহ করে থাকেন, তা হলে আমার পরিবারে খবর নিতে পারেন।

উল্লেখ্য, গত ৮ এপ্রিল থেকে পাঁচ দিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রায় সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করেন।

পরে ১২ এপ্রিল জাতীয় সংসদের অধিবেশনে কোটা পদ্ধতি বাতিল ঘোষণা করে সব চাকরিতে শতভাগ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পর শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করার ঘোষণা দেন।-যুগান্তর

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৪:৫৭ | সোমবার, ১৬ এপ্রিল ২০১৮

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com