বুধবার ১৭ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

কে হচ্ছেন হেফাজতের পরবর্তী মহাসচিব

  |   রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ | প্রিন্ট

কে হচ্ছেন হেফাজতের পরবর্তী মহাসচিব

কওমি আলেমদের বৃহত্তর অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমীর মৃত‌্যুর পর তার স্থলাভিষিক্ত কে হচ্ছেন, তা নিয়ে শুরু হয়ে গেছে জল্পনা-কল্পনা। ইতোমধ‌্যেই মহাসচিব হিসেবে সংগঠনের নায়েবে আমির মাওলানা নুরুল ইসলাম জেহাদী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের নাম উচ্চারিত হচ্ছে। তবে, এই ৩ জনের মধ্যে মামুনুল হকের মহাসচিব পদে আসার সম্ভাবনা বেশিই বলে মনে করছেন অনেকে। তাকে হেফাজতের মহাসচিব করার দাবিও  তুলছেন কেউ কেউ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হেফাজতের এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘ভাস্কর্য নির্মাণ ইস্যুতে হেফাজতের বর্তমান আন্দোলনে মাঠে যিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন, তিনি মাওলানা মামুনুল হক। আমরা তাকেই হেফাজতের মহাসচিব পদে দেখতে চাই।’

হেফাজতের  একাধিক ঘনিষ্ঠ-সূত্রে জানা গেছে, মাওলানা মামুনুল হককে হেফাজতের পরবর্তী মহাসচিব হিসেবে শেষ পর্যন্ত দেখা যেতে পারে। যদিও তার ওপরের পদে আরও কয়েকজন নেতা রয়েছেন। মহাসচিব পদে তার বিকল্প কাউকে ভাবছেন না বেশিরভাগ কওমি আলেম। নূর হোসাইন কাসেমীর পদে মামুনুল হকের পক্ষেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে তাদের নেতাকর্মীরা আওয়াজ তুলেছেন। তবে, মামলা  কিংবা অন্যকোনো কারণে মামুনুল হক রাজি না হলে সংগঠনের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা নুরুল ইসলাম জেহাদী ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীবের মধ্য থেকে যেকোনো একজনকে মহাসচিব করা হতে পারে।.

হেফাজতের নেতাকর্মীদের দাবি, মাওলানা কাসেমীর শূন্যপদে মামুনুল হকের বিকল্প নেই। এই মুহূর্তে ভাস্কর্যবিরোধী আন্দোলনের মূলে তিনিই নেতৃত্ব দিচ্ছেন। রাজধানীতে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার হুমকি দিয়ে হেফাজতের ব্যানারে বড় ধরনের আন্দোলনের চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছেন এই ধর্মীয় নেতা। শুধু তাই নয়, হাটহাজারী মাদ্রাসায় আল্লামা শফীর ছেলে আনাস মাদানীর পরিবর্তে বাবুনগরীকে কো-অপ্ট করার আন্দোলনেও ভূমিকা ছিল তার। আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যুর পর হেফাজতকে একাট্টা করে বাবুনগরীকে হেফাজতের নতুন আমির ও মাওলানা কাসেমীকে মহাসচিব করার নেপথ্যেও কাজ করেছেন তিনি।

জানা গেছে, মাওলানা কাসেমীর মৃত্যুর পর আপাতত হেফাজতের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হিসেবে সংগঠনের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব দায়িত্ব পালন করবেন। কাসেমীর দাফন শেষ হলে সময়-সুযোগ মতো সংগঠনের নেতারা বসে নতুন মহাসচিব নির্বাচিত করবেন।.

এই বিষয়ে হেফাজত নেতা মাওলানা ওয়ালিউল্লাহ আরমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বারিধারা মাদ্রাসা থেকে মোবাইলফোনে বলেন, ‘আমরা জগদ্বিখ্যাত এই আলেমকে হারিয়ে শোকাহত। কে হবেন আমাদের মহাসচিব, এই  মুহূতে তা নিয়ে ভাবার সুযোগ নেই। সংগঠনের নেতারা বসে পরবর্তী মহাসচিব ঠিক করবেন।’

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতাকে কেন্দ্র করে নতুন করে আলোচনায় আসে হেফাজত।.

এর আগে, চলতি বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এরপর ১৫ নভেম্বর হাটহাজারি মাদ্রাসায় কাউন্সিল করে ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট নতুন কমিটি গঠন করা হয়। এরপর তৎকালীন মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরীকে নতুন আমির নির্বাচিত করা হয়। আর নায়েবে আমির মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমীকে করা হয় মহাসচিব। কমিটিতে ৩২ জন নায়েবে আমির, ৪ জন যুগ্ম মহাসচিব, ১৮ জন সহকারী মহাসচিব নির্বাচিত করা হয়। .

কমিটি গঠনের একমাস পূর্ণ হওয়ার আগেই বার্ধক্যজনিত ও করোনায় আক্রান্ত হয়ে রোববার (১৩ ডিসেম্বর)মারা যান হেফাজতের নতুন মহাসচিব আল্লামা কাসেমি। তার মৃত্যুতে মহাসচিব পদটি শূন্য হয়ে যায়। একমাস পূর্ণ হওয়ার আগেই নতুন মহাসচিব নির্বাচিত করতে হচ্ছে সংগঠনটিকে।সূএ:রাইজিংবিডি.কম

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ২১:২২ | রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com