| বুধবার, ২৪ জুলাই ২০১৯ | প্রিন্ট
শামসুল খান : লাহিনী বটতলা জামে মসজিদ এর পিছনে জালাল উদ্দিন এর ছোট ছেলে আলম দীর্ঘ দিন ধরে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত, কয়েকবার ভাল হয়ে যাবার কথা বললেও খুব গোপনে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাদক বিরোধী জিরো টলারেন্স ঘোষণা পর থেকেই কুষ্টিয়া জেলার এসপি তানভীর আরাফাত মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান শুরু করেন। এ অভিযানে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেন তিনি। মাদক উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে বড় বড় কুখ্যাত কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন, অনেক ছোট ব্যবসায়ী গা ঢাকা দিয়েছেন। চলমান এই অভিযানে আইনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে ক্ষমতার জোরে দাবটের সাথে ব্যবসা করে যাচ্ছে আলম।
সুত্রে জানাজায়, আলম এর শ্বুশ্বুর বাড়ি দৌলতপুরে সপ্তাহে একবার আলম শ্বুশ্বুর বাড়ি গিয়ে মাল কিনে রাতে প্যাকেট করে, খুব সকালে ইয়াবা, ফেন্সিডিল, গাজা নিজের মোটর সাইকেল এ করে নিয়ে আসে। আগে শুধু আলম ইয়াবা আর গাজা নিয়ে আসতো, এখন মাদকের চাহিদা হওয়াতে ফেন্সিডিলও নিয়ে আসে।
আলমের এক গ্রাহক নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানায়, একপিস ইয়াবা ৩০০ টাকা , ২৫ গ্রাম গাজা ১০০০ টাকা, একপিস ফেন্সিডিল ১২০০ টাকা দরে আমরা আলমের কাছ থেকে কিনি । আলম বেশির ভাগ সময় নিজের বাড়ী থেকেই মাল ডেলিভারি দেয়। অনেক সময় মেডিকেল কলেজ মাঠ, হাইস্কুল মাঠ, ক্যানাল পাড়া থেকেও আমাদের মাদক ডেলিভারি দেয়।
লাহিনী বটতলার জনগণ জানায় মাদকের নেশা যেভাবে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে তাতে আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করছেন অনেকেই। আগে তরুণ-যুবকরা মাদকে আসক্ত হতো। এখন কিশোর, এমনকি কিশোরীরাও মাদকাসক্তির শিকার হচ্ছে। এলাকাবাসী জোর দাবী জানিয়েছেন আলমকে দ্রুত গ্রেপতার করে এলাকা থেকে তার মাদকের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে ফেলা হোক।
Posted ১৪:২১ | বুধবার, ২৪ জুলাই ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin