| সোমবার, ২০ আগস্ট ২০১৮ | প্রিন্ট
গত ৮ ফেব্রুয়ারিতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে নাজিমুদ্দীন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রয়েছেন। উচ্চ আদালতে অর্ন্তবর্তী জামিন মঞ্জুর করলেও একাধিক মামলায় গ্রেফতার দেখানোয় এবারের ঈদেও মুক্তি মিলছে না সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর। এই নিয়ে চতুর্থবারের মতো তিনি ঈদ করছেন কারাগারে।
এর আগে ১/১১ সরকারের সময় ঈদুল ফিতর এবং কোরবানির ঈদ কাটে সংসদ ভবন এলাকায় স্থাপিত সাব-জেলে। ওই সময় ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ভোরে খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের মইনুল রোডের বাসভবন থেকে গ্রেফতারের পর সাব-জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ৩৭২ দিন আটক থেকে ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তিনি মুক্তি পান।
এ বিষয়কে অত্যন্ত বেদনাবিধুর কণ্ঠে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমীগর বলেন, আমাদের দলীয় নেত্রীকে কারাগারে রেখে ঈদ পালন আমাদের জন্য অনেক কষ্টের। যদিও তিনি অত্যন্ত দৃঢ় মনোবলের। এ বিষয়ে অভ্যস্থ। কিন্তু আমাদের মানতে কষ্ট হয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, সরকার যদি আর কোনও রকম হস্তক্ষেপ না করে, তাহলে বেগম খালেদা জিয়া এ মাসের মধ্যে জামিনে মুক্ত হবেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ভেবেছিল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে যদি একবার কারাগারে নেওয়া যায়, তাহলে আর বিএনপি থাকবে না। বর্তমানে বিএনপি অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে ঐক্যবদ্ধ এবং শক্তিশালী। সরকার যে আশা করেছিল, তাদের সে আশা ভুল হয়েছে।
খালেদা জিয়ার কারা জীবনের প্রথম রোজার ঈদ কাটাতে হয় ২০০৭ সালের ১৪ অক্টোবর। একই বছরের সালের ২১ ডিসেম্বর কোরবানির ঈদও তাকে কাটাতে হয় ওই সাব জেলেই।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঈদের দিন তার সঙ্গে দেখা করার জন্য এরই মধ্যে আবেদন করা হয়েছে। অনুমতি পেলে দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ কারাগারে গিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সাজা দেন। ওই রায়ের পর থেকেই খালেদা জিয়া নাজিমুদ্দীন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক আছেন।
Posted ১৫:৫৮ | সোমবার, ২০ আগস্ট ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain