বৃহস্পতিবার ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাবার খেদমতে ৪০ বছর

  |   শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ | প্রিন্ট

কাবার খেদমতে ৪০ বছর

কাজের সন্ধানে ২৩ বছর বয়সে সৌদি আরব গিয়েছিলেন আহমেদ খান কান্দাল। ১৯৮৩ সালে দেশ ছাড়া আহমেদ খান তখন ভাবেননি যে চার দশক তিনি সৌদি আরবে কাটিয়ে দেবেন। পাকিস্তানের মান্দি বাহাউদ্দিনের এই বাসিন্দা কাবা শরিফে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করছেন।

আহমেদ খান প্রাথমিকভাবে তার বাবা-মাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তিনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু মক্কা এবং গ্র্যান্ড মসজিদের সেবা তাকে ব্যস্ত রেখেছে। তার বাবা-মাও গত হয়েছেন। খবর আরব নিউজের

 

কাবার খেদমতেই জীবনের এতগুলো বছর কেটে গেছে। এখন আহমেদ খানের বয়স ৬১ বছর। তিনি গ্র্যান্ড মসজিদের পরিচ্ছন্নতা কাজের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

 

তিনি কাবার দ্বিতীয় ও তৃতীয় সম্প্রসারণ প্রকল্পের সাক্ষী। তিনি সেই স্মৃতিচারণ করেন। আহমেদ খান আরব নিউজকে বলেন, ‘যেহেতু আমি প্রায় ৪০ বছর আগে সৌদি আরবে এসেছি। আমার সব সময় মনে হয়েছে যে পরিবারের মধ্যেই রয়েছে। কখনো বিচ্ছিন্ন মনে হয়নি।

 

তিনি বলেন, ‘যখনই আমি নতুন কারো সাথে দেখা করি, তারা আমাকে বলে যে আমি কতটা ভাগ্যবান যে, আমি গ্র্যান্ড মসজিদের সেবা করতে এবং সেখানে নামাজ আদায় করতে পেরেছি। আমি সর্বদা পবিত্র কাবার কাছে ছিলাম এবং এটি একটি মহান সম্মান যা শুধু আল্লাহর সাথে একটি বিশেষ সম্পর্কযুক্ত ব্যক্তিই পেতে পারে। চার দশক ধরে এই কাজ করতে পেরে আমি ধন্য।

 

তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে তিনি প্রয়াত বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজের শাসনামলে সৌদি আরবে এসেছিলেন। আহমেদ খান বলেন, ‘আমি বাইরের আঙ্গিনা পরিষ্কারের কাজ করেছি এবং প্রায় চার বছর পর গ্র্যান্ড মসজিদের দ্বিতীয় সৌদি সম্প্রসারণ ঘটেছে। আমি সাক্ষী ছিলাম কিভাবে মুসলমানরা তাদের আচার অনুষ্ঠান আরও আরামদায়কভাবে করতে শুরু করে।

 

পাকিস্তানি কর্মী প্রয়াত বাদশাহ ফাহাদের শাসনামলে কাবা পুনরুদ্ধারের প্রত্যক্ষ করেন এবং বলেন এটি তার জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং সুন্দর সময়। তিনি বিশ্বাস করেন যে আল্লাহ তাকে প্রয়াত বাদশাহ আব্দুল্লাহর শাসনামলে তৃতীয় সৌদি সম্প্রসারণ সহ অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনার সাক্ষী হতে বেছে নিয়েছিলেন।

 

আহমেদ খানের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তার এক ছেলে গ্র্যান্ড মসজিদের বৈদ্যুতিক বিভাগে কাজ করেন এবং অন্য ছেলে তার বোনের সাথে পাকিস্তানে থাকেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে তার ইচ্ছা যেন এখানেই তার মৃত্যু হয় এবং দাফন করা হয়।

 

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৩:৫৩ | শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com