শুক্রবার ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কলম্বোতে কারফিউ জারি

  |   শুক্রবার, ০১ এপ্রিল ২০২২ | প্রিন্ট

কলম্বোতে কারফিউ জারি

শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত বাসভবনের কাছাকাছি এলাকায় জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর রাতেই কারফিউ জারির ঘোষণা দেয় পুলিশ। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

 

ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের পাশাপাশি টানা ১৩ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় লোকজন সরকারের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। এদিন প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের বাসভবনের বাইরে জড়ো হয় একদল বিক্ষোভকারী। তারা রাজাপাকসের বাসভবন ঘেরাওয়ের চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ।

 

পরে পুলিশের পক্ষ থেকে কারফিউ জারির ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে বিক্ষোভের সময় রাজাপাকসে তার বাসভবনে ছিলেন কিনা সেটি স্পষ্ট নয়। পুলিশের পক্ষ থেকেও এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানানো হয়েছে।

 

পুলিশের মহাপরিদর্শক সিডি বিক্রমরত্নে এক বিবৃতিতে বলেছেন, কলম্বোর বেশিরভাগ জেলায় ‘পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত’ কারফিউ অব্যাহত থাকবে।

 

কলম্বোর মিরিহানা জেলায় শত শত বিক্ষোভকারী পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে রাজাপাকসের ব্যক্তিগত বাসভবনের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় তারা ‘গোটা বাড়ি যাও’, ‘গোটা একজন স্বৈরশাসক’ ইত্যাদি স্লোগান দেয়। ফেসবুকে পোস্ট করা ভিডিওতে একটি পুলিশ বাসে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। এছাড়া একজন ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখা গেছে।

 

তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের জেরে সৃষ্ট গণঅসন্তোষের জেরে রাস্তায় নেমে আসা বিক্ষোভকারীরা অবিলম্বে রাজাপাকসের পদত্যাগ দাবি করেছে। বিক্ষোভকারীদের একজন ২৬ বছরের অজিথ পেরেরা বলেন, ‘আমরা জীবনযাত্রার অসহনীয় ব্যয়, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ ঘাটতির প্রতিবাদ জানাতে এসেছি। প্রেসিডেন্টের বাসভবনের দিকে যাওয়ার সিদ্ধান্তটি ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। আমরা চাই প্রেসিডেন্ট, যিনি এত ধ্বংসযজ্ঞ ঘটিয়েছেন, তিনি যেন বাড়ি ফিরে যান।’

 

২১ বছরের একজন বিক্ষোভকারী মোহাম্মদ আসরি আল জাজিরাকে বলেন, ‘অর্থনীতি এতটাই খারাপ যে আমরা ঠিকমতো দুই বেলা খেতে পারি না। আমার জীবনে এত খারাপ পরিস্থিতি দেখিনি। গোটাকে (প্রেসিডেন্ট) সরে যেতে হবে।’

 

মিরিহানা সমাবেশ সহিংসতায় রূপান্তরিত হওয়ার পর বিক্ষোভ শহরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা কলম্বো থেকে শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ক্যান্ডি পর্যন্ত প্রধান মহাসড়ক অবরোধ করে। সামান ওয়ানাসিংহে নামের একজন বিক্ষোভকারী বলেন, ‘আমি ক্ষুব্ধ, সবাই ক্ষুব্ধ। এখন কি হবে কে জানে? সব জায়গায় প্রতিবাদ হবে।’

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ০৫:২৭ | শুক্রবার, ০১ এপ্রিল ২০২২

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com