শুক্রবার ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনার বিদায়বেলায় নাক ‘সুন্দর’ করার হিড়িক.

  |   শুক্রবার, ০৮ জানুয়ারি ২০২১ | প্রিন্ট

করোনার বিদায়বেলায় নাক ‘সুন্দর’ করার হিড়িক.

করোনা মহামারি অনেকটাই সামাল দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। তাই অচিরেই হয়ত আর মাস্ক পরতে হবে না। তারই প্রস্তুতি হিসেবে চেহারা সুন্দর করতে কসমেটিক সার্জারি করা শুরু করে দিয়েছেন সে দেশের অনেকে।

২০ বছর বয়সী রিউ হান-না একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তিনি গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি নাকে কসমেটিক সার্জারি করিয়েছেন। তার মনে হচ্ছিল, যদি তখনই না করেন, তাহলে হয়তো আর সুযোগ পাবেন না। কারণ, এরপর মাস্ক খুলে ফেলার সময় হয়ে যাবে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে রিউ জানান, নাকের কাজটা আমি সব সময়ই করিয়ে ফেলতে চাইছিলাম। এবার ভাবলাম ২০২১ সালে ভ্যাকসিন চলে এলে তো সবাই মাস্ক খুলে ফেলবেন, তাই তার আগেই করালাম। এজন্য তার প্রায় চার হাজার মার্কিন ডলার বা সোয়া ৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

‘‘সার্জারির পর নাকে কিছুটা ক্ষত ও ফোলা থাকবে। কিন্তু সবাই মাস্ক পরে থাকবে তো, কেউ বুঝবে না.” রয়টার্সকে বলেন তিনি।

রিউর মতো করে ভাবেন দক্ষিণ কোরিয়ার অনেকেই। তাই ২০২০ সালে কসমেটিক সার্জারি সংখ্যাও বেড়েছে। এ বছর আরও বাড়তে পারে। বিশ্বের কসমেটিক সার্জারির রাজধানী হিসেবে পরিচিত দেশটি ২০২০ সালে ১০.৭ বিলিয়ন ডলার (প্রায় সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা) আয় করেছে এ খাত থেকে, যা আগের বছরের তুলনায় ৯.২% ভাগ বেশি। ২০২১ সালে তা ১১.৮ বিলিয়ন ডলার (প্রায় সাড়ে নয় হাজার কোটি টাকা) ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে কসমেটিক সার্জারি প্লাটফর্ম গ্যাংনাম উননি।

‘‘শরীরের বাইরের অঙ্গ সম্পর্কে, বিশেষ করে চোখ, ভ্রু, নাক ও কপালে সার্জারি বা সাধারণ চিকিৎসা সংক্রান্ত জিজ্ঞাসা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে,” রয়টার্সকে বলেন পার্ক চিওল-উ। তিনি উআহইন নামের একটি প্লাস্টিক সার্জারি ক্লিনিকের সার্জন। রিউর-র নাকের প্লাস্টিক সার্জারি তিনিই করেছেন।

শিন শ্যাং-হো নামের আরেক সার্জন বলেন, অনেকে করোনার সময় যে প্রণোদনার টাকা পেয়েছেন তা এসব সার্জারিতে ব্যয় করছেন।

‘‘মনে হচ্ছে যেন সবাই বদলা নিচ্ছেন। খদ্দেররা কসমেটিক সার্জারি করে যেন করোনার মানসিক চাপ হতে মুক্তি পেতে চাইছেন,” বলেন তিনি।

গ্যাংনাম উনি বলছে, গত বছর তাদের সেবা ব্যবহারকারীর সংখ্যা আগের বছরের চেয়ে ৬৩% বেড়েছে। প্রায় ১০ লাখ লোক শুধু কাউন্সেলিং সেবাই নিয়েছেন, যা আগের বছরের দ্বিগুণ। সূত্র: ডয়চে ভেলে

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১১:৪২ | শুক্রবার, ০৮ জানুয়ারি ২০২১

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com