বুধবার ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কক্সবাজার সৈকত ভেসে আসছে অসংখ্য মৃত জেলিফিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট

কক্সবাজার সৈকত ভেসে আসছে অসংখ্য মৃত জেলিফিশ

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে জোয়ারের সঙ্গে ভেসে আসছে অসংখ্য মৃত জেলিফিশ। সমুদ্র সৈকতের কলাতলীসহ বিভিন্ন পয়েন্টের বালিয়াড়িতে আটকে পড়ে আছে এসব জেলিফিশগুলো। জোয়ারের পানিতে ভেসে গেলেও ভাটার সময় আবারো আটকা পড়ছে এসব মৃত জেলিফিশ।

 

বুধবার (২৯মার্চ) সকাল থেকে সৈকতের কলাতলী পয়েন্টে অসংখ্য মরা জেলিফিশ বালুতে আটকে থাকতে দেখা গেছে। এসব জেলিফিশের মধ্যে কোনোটা আকারে ছোট, কোনোটা বড়। দেখতে অনেকটা অক্টোপাসের মতো। তবে এগুলো কী কারণে মারা যাচ্ছে এর সঠিক কারণ কেউ বলতে পারছে না। খবর পেয়ে কক্সবাজারের বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্স ইনস্টিটিউটের সমুদ্রবিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষন করে মৃত জেলিফিশের নমুনা সংগ্রহ করেছেন।

 

বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্স ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর জানান, সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে অসংখ্য মৃত জেলিফিশ দেখা গেছে। ভাটার সময় এসব জেলিফিশ দেখা গেলেও জোয়ারের পানিতে জেলিফিশগুলো পুনরায় সমুদ্রের পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। ভাটার সময় আবারও এসব জেলিফিশ উপকূলে ভেসে আসবে। প্রাথমিকভাবে এসব জেলিফিশ জেলেদের জালে আটকা পড়ে মারা যাচ্ছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

 

সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর জানান, সৈকতে ভেসে আসা মৃত জেলিফিস নিয়ে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। পরীক্ষা করে দেখা গেছে এদের কর্ষিকায় মানুষের জন্য ক্ষতিকর কোন বিষ নেই। পৃথিবীতে প্রায় ২৫০০ প্রজাতির জেলিফিস চিহ্নিত হয়েছে, যার অধিংকাশই মানুষের শরীরের বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে। এমনকি কিছু কিছু জেলিফিসের কর্ষিকার সংস্পর্শে আসলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। আবার বিশ্বব্যাপী ১২টি জেলিফিস সানাক্ত করা হয়েছে, যেগুলো খাদ্য হিসেবে গ্রহন করা হয়। তবে আমাদের সৈকতে এখন পর্যন্ত যে দু’টি প্রজাতির জেলিফিসের ব্লুম লক্ষ্য করা গেছে সেগুলির কোনটিই বিষাক্ত নয় এবং মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয়। এসব জেলিফিস খালি হাতে স্পর্শ করলেও কোন ক্ষতিকর প্রভাবের সম্ভাবনাই নাই। ফলে বিষয়টি গবেষকদের ভাবনার বিষয় হলেও পর্যটকদের আতংকিত হবার কিছু নেই।

 

বেলাল হায়দর জানান, এদের শরীরে প্রায় ৮০-৯০ শতাংশ পানি থাকায় সৈকতে আটকে পড়া জেলিফিসের মধ্যে যেগুলো পরবর্তী জোয়ারেও ভেসে না গিয়ে থেকে যাবে সেগুলোও ৭/৮ ঘণ্টার মধ্য সৈকতের বালিয়াড়ীতে মিশে যাবে এবং লাল কাঁকড়াসহ সৈকতের বালিয়াড়ীতে বসবাস করা অপরাপর সামুদ্রিক প্রাণীরা এদের খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করবে। সূএ:বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ০৬:৪৬ | বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com