| শুক্রবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | প্রিন্ট
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের অনিয়ম নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের গণশুনানি চলছে। শুনানিতে কুড়িগ্রাম-২ আসনের গণফোরাম ও ধানের শীষের প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) আমসা আমিন বলেন, ৩০শে ডিসেম্বর বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হয় নাই। একটি কেন্দ্রে ধানের শীষে ভোট পড়ায় ক্ষমতাসীন দলের নেতা কর্মীরা ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নিয়ে ব্যালট পেপার পুড়িয়ে ফেলেছিল। সেদিন তারা ব্যালট নয় গনতন্ত্রকে পুড়িয়েছিল। সংবিধান ও জনগনের ভোটের অধিকারকে পদদলিত করেছে।
পিরোজপুর-২ আসনের ধানের শীষ প্রতিকের প্রার্থী লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে এসব শুনানি করে কোন ফল পাওয়া যাবে না। আন্দোলনের কর্মসূচি দিন। রাজপথেই সমাধান সম্ভব। এই অবস্থা থেকে মুক্তির একমাত্র পথ আন্দোলন, আন্দোলন এবং আন্দোলন।
শুক্রবার সকাল ১০টার পর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে শুরু হওয়া গণশুনানি চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীরা ভোটকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া নানা অনিয়মের বর্ণনা দেন। জামায়াত আর মহাজোট ছাড়া সব রাজনৈতিক দলের নেতাকে গণশুনানিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। প্রথম অধিবেশন দুপুর সাড়ে ১২টায় শেষ হয়।
গণশুনানির আগে ঢাকার চকবাজারে অগ্নিকা-ে মর্মান্তিকভাবে নিহত ও আহতদের জন্য শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। গণশুনানিতে ছয়জন জুরি বোর্ডের সদস্য রয়েছেন। গণশুনানিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধি উপস্থিত আছেন।
Posted ১৬:১৩ | শুক্রবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain