শুক্রবার ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এরশাদের বিপুল সম্পদ পাচ্ছেন যারা

  |   রবিবার, ১৪ জুলাই ২০১৯ | প্রিন্ট

এরশাদের বিপুল সম্পদ পাচ্ছেন যারা

জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা, সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১০ দিন ধরে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকার পর মারা গেছেন।

রোববার (১৪ জুলাই) সকাল পৌনে ৮টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি………. রাজিউন)।

তার মৃত্যুর পরই আলোচনা হচ্ছে তার সম্পদ নিয়ে। তার বিপুল সম্পতির মালিকানা কে পাচ্ছেন। তার পুত্র এরিক এরশাদ না তার প্রথম স্ত্রী রওশান এরশাদ। না অন্য কেউ।

তবে বেশ কিছু দিন আগেই তার সমস্ত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি একটি ট্রাস্টকে দান করেছেন। বারিধারার বাসভবনে পাঁচ সদস্যের এই ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করে লিখিতভাবে বোর্ডকে সম্পত্তি দান করেন।

জাতীয় নির্বাচনের সময় এরশাদ ইসিতে যে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন তাতে তিনি বার্ষিক এক কোটি আট লাখ টাকা আয়ের কথা জানিয়েছিলেন। সম্পদের বিবরণীতে তিনি আয়ের প্রধান উৎস হিসেবে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার, অনির্ধারিত ব্যবসা, বিভিন্ন কোম্পানি থেকে বেতন, সম্মানীর কথা উল্লেখ করেছেন। রাজধানীর গুলশান ও বনানীতে সর্বশেষ তিনি দুটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন যার মূল্য যথাক্রমে ৬ কোটি ২০ লাখ ও ৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এছাড়াও তার দেশে অনেক সম্পদ রয়েছে যা অনেকের অজানা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এরশাদের ঘনিষ্ঠ পার্টিও আরেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বলেন, ট্রাস্টি বোর্ডে দান করা সম্পত্তির বর্ণনা দেননি এরশাদ। শুধু দানের কথা বলা হয়েছে। ফলে এরশাদের ঠিক কী পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে, তা জানা যায়নি।

পার্টির কয়েকজন নেতা বলেন, গত জানুয়ারিতেও একবার এরশাদ তার সমস্ত সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারা করে দিয়েছেন বলে আমরা শুনেছিলাম। তখন তার সম্পত্তির একটি বিবরণ ও কাকে কী সম্পত্তি দেওয়া হলো, এমন কথাও জানতে পেরেছিলাম আমরা।

জাতীয় পার্টির নেতাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এরশাদ তার বড় ছেলে আল মাহিগীর শাদ এরশাদ (রওশন এরশাদের সঙ্গে থাকেন), ছোট ছেলে শাহতা জারাব এরিক (বিদিশা এরশাদের ঘরের), পালিত কন্যা জেবিন (লন্ডনে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন) ও ভাই-ভাতিজার মধ্যে বড় সম্পদের বড় অংশ ভাগ করে দেন। কিছু সম্পদ এরশাদের কয়েকজন পালিত কন্যা এবং কিছু সম্পত্তি পার্টির অফিস ও এতিমদের জন্য ট্রাস্টে দেওয়া হয়েছে বলেও তখন প্রচার পায়।

এরশাদের কী পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে- জানতে চাইলে পার্টির কয়েকজন নেতা জানান, রংপুরে বিপুল পরিমাণ ভূসম্পত্তি এবং রংপুর সদরের পদাগঞ্জে কোল্ড স্টোরেজ রয়েছে। গুলশান-২ এর বাড়িটি রওশন এরশাদকে দিয়েছেন এরশাদ বহু আগেই। বারিধারার ১০ নম্বর দূতাবাস রোডের ‘প্রেসিডেন্ট পার্ক’ যেখানে তিনি নিজে বসবাস করেন সেটি তার সাবেক স্ত্রী বিদিশা এরশাদের একমাত্র ছেলে এরিক এরশাদের নামে দেওয়া হয়েছে।

তারা বলেন, পালিত পুত্র আরমানকে দেওয়া হয়েছে গুলশানের অপর একটি ফ্ল্যাট। রংপুরের সম্পত্তি পেয়েছেন তার ভাই জি এম কাদের ও এক ভাতিজা। রংপুরের জাতীয় পার্টি অফিস দলকে দান করেছেন।

নেতারা আরও জানান, কয়েক বছর আগে চলচ্চিত্র পরিচালক শফি বিক্রমপুরির কাছ থেকে কেনা ঢাকার কাকরাইলে জাতীয় পার্টির প্রধান কার্যালয়টি এরশাদের ব্যক্তিগত নামে ছিল। এটি তিনি পার্টিকে দান করেছেন। এরশাদের গুলশান বনানী এলাকায় বিভিন্ন মার্কেটে দোকান রয়েছে। এরশাদের নগদ টাকাসহ সম্পত্তি কী কী আছে তা পরিষ্কারভাবে দলীয় নেতাকর্মীরা জানেন না।

‘তবে কী পরিমাণ সম্পত্তি এরশাদের রয়েছে, তা কেউ জানে না’- বলেন পার্টির এক প্রেসিডিয়াম মেম্বার। তিনি বলেন, আমরা মুখে মুখে যেটুকু শুনি, সেটুকুই। স্যার নিজেও কোনো দিন এসব নিয়ে গল্প করেনি।

পূর্বপশ্চিমবিডি

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৭:২৫ | রবিবার, ১৪ জুলাই ২০১৯

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com