| মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৯ | প্রিন্ট
জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আমানুর রহমান খান রানাকে হাইকোর্টের দেয়া জামিনের ওপর স্থগিতাদেশ চলমান রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ করে এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ (মঙ্গলবার) আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ। এছাড়া রানার পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার, মনসরুল হক চৌধুরী ও সাঈদ আহমেদ রাজা।
সাঈদ আহমেদ রাজা জানান, হাইকোর্ট জামিন দিয়েছিলেন। পরে চেম্বার আদালত তা স্থগিত করেছিল। আজ আপিল বিভাগ সে স্থগিতাদেশ কন্টিনিউ করেছেন।
গত ৬ মার্চ যুবলীগের ২ নেতা হত্যা মামলায় হাইকোর্ট তাকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছিলেন। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে চেম্বার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ১৪ মার্চ রানার জামিন স্থগিত করেন।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই তাদের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে টাঙ্গাইল শহরে গিয়ে নিখোঁজ হন। ঘটনার পর দিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এক বছর পর ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্ত করে পুলিশ ওই বছর ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটি তালিকাভুক্ত করে।
এ মামলায় গ্রেফতার হওয়া শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার খন্দকার জাহিদ গত বছর ১১ মার্চ, শাহাদত হোসেন ১৬ মার্চ এবং হিরন মিয়া ২৭ এপ্রিল আদালতে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তারা উল্লেখ করেন, এমপি আমানুর রহমান খান রানার দিক নির্দেশনায় যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুনকে হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আ.লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে এই হত্যায় এমপি রানা ও তার ভাইদের নাম বের হয়ে আসে।
২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এই মামলায় এমপি রানা ছাড়াও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪জন আসামী রয়েছে। বর্তমানে মামলাটি সাক্ষগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।
Posted ১২:১০ | মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain