বৃহস্পতিবার ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

‘উচ্ছৃঙ্খল আচরণে অভ্যস্ত ছিল আবরারের হত্যাকারীরা’

  |   বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৯ | প্রিন্ট

‘উচ্ছৃঙ্খল আচরণে অভ্যস্ত ছিল আবরারের হত্যাকারীরা’

একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে মারার ঘটনায় ছাত্রলীগের যেসব নেতাকর্মী যুক্ত তারা উচ্ছৃঙ্খল আচরণে অভ্যস্ত ছিল বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম।

বুধবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার চার্জশিট সম্পর্কে জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ইতিমধ্যে আলোচিত এই মামলায় ২৫ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ। আসামিদের বেশির ভাগই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। তবে ইতিমধ্যে তাদেরকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা বুয়েট থেকেও সাময়িক বহিষ্কৃত।

মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘তদন্তের সময় আমরা জানতে পেরেছি, আবরার যে শিবির করে বলে যেটা বলা হচ্ছিল এটা একক কোনো কারণ না। হত্যার সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত তারা এধরনের উচ্ছৃঙ্খল আচরণে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিল। ছোটখাটো বিষয়ে কেউ দ্বিমত পোষণ করলে কিংবা এদের বিরুদ্ধে কথা বললে বা সালাম না দিলে র‌্যাগিংয়ের নামে নতুনদের আতঙ্কিত করে রাখার জন্য এসব কাজ করত।’

পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘তবে এসব বিষয়ে আগে কেউ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অভিযোগ করেনি। তদন্ত করতে গিয়ে আমরা এসব দেখেছি। একজন ছাত্র আমাদের জানিয়েছে, তাদের সালাম দেওয়া হয়নি বলে তাকে পেটানো হয়েছে।’

গত ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হলের একটি কক্ষে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে। তিনি শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

আলোচিত এই মামলায় এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন-মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মো. মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মো. মাজেদুল ইসলাম, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা ও এ এস এম নাজমুস সাদাত।

এজাহার বহির্ভূত পাঁচজন হলেন- ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত ও এস এম মাহমুদ সেতু। ঢাকাটাইমস

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৪:১৬ | বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৯

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com