| শনিবার, ১৮ আগস্ট ২০১৮ | প্রিন্ট
ডেস্ক রিপোর্ট: ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে গাবতলী বাস টার্মিনালে। চাপ বাড়তেই টিকিটের দামও অতিরিক্ত হারে বাড়া শুরু হয়েছে। ফরিদপুরগামী রাবেয়া পরিবহনে ৬০০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটেছেন রাবি রাঈদ। তিনি বলেন, ৩০০ টাকার ভাড়া ডাবল রেখেছে। প্রথমে বলেছিল টিকিট নেই। পরে ওদেরই আরেকজন বেশি দামের কথা জানালো। কিন্তু এই অতিরিক্ত ভাড়া আবার টিকিটে উল্লেখ করা নাই। টিকিটে লেখা ৪০০ টাকা।
এ বিষয়ে রাবেয়া পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা যে পরিমাণ বাস বুকিং দিয়েছিলাম সে পরিমাণ যাত্রী এখনও আসে নাই। আজ যাত্রী কিছুটা বেড়েছে। গতকালও সিট খালি রেখেই বাস ছেড়ে গেছে। তবে আমাদের ক্ষতি পোষায়নি এখনও। আবার গাড়ি এখন যাত্রী ছাড়াই ফেরত আসছে। কিন্তু খরচ তো কমেনি। বছরের অন্যান্য সময় কম ভাড়া নিলেও দুদিক থেকেই যাত্রী পাওয়া যায়। ক্ষতি হয় না। আমি যদি কম ভাড়া নিতে পারতাম তাহলে আমার পরিবহনের সুনামও অক্ষুণ্ন থাকতো। কিন্তু ঈদে আবার শ্রমিকদের বোনাসও দিতে হয়। এসব কারণেই বাড়তি ভাড়া রাখা হচ্ছে।
বাড়তি ভাড়া নেওয়ার যুক্তি দেখিয়ে গোল্ডেন লাইন পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মো. মিজানুর রহমান বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনও ভাড়া বৃদ্ধির একটি কারণ। আমরা অনেকটা দিনমজুরদের মতো। গাড়ি বন্ধ থাকলে আমাদের উপার্জনও বন্ধ। নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক গণ্ডগোলের কারণে বাস বন্ধ রাখতে হয়। কারণ, বাস পোড়ানো খুব সাধারণ চিত্র। এই ঈদ ছাড়া ভালো উপার্জনের সুযোগ আর হাতে নাই পরিবহন শ্রমিকদের। তাই তারা অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে।
এদিকে অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) ভিজিলেন্স টিমের কোনো ভ্রুক্ষেপ দেখা যায়নি। তারা জানায় তাদের কাছে কোন যাত্রী অভিযোগ করেনি। খবর: বাংলা নিউজ২৪
Posted ১২:০৫ | শনিবার, ১৮ আগস্ট ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain