শনিবার ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আ.লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে কবর দিয়েছে : আলাল

  |   বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৯ | প্রিন্ট

আ.লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে কবর দিয়েছে : আলাল

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও যুবদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, আজকে আওয়ামী লীগের এ রকম অধপতন হয়েছে যে, মুক্তিযুদ্ধের কথা বলতে বলতে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে কবর দিয়ে ফেলেছে।

বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৫তম জন্মদিন উপলক্ষে স্বেচ্ছায় রক্তদান ও বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচির আয়োজন করে বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ ছাত্রদল।

আলাল বলেন, বিএনপির নীতিমালা ছিল, তথা জিয়াউর রহমানের নীতি ছিল বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ আর শেখ মুজিবুর রহমানের, তথা আওয়ামী লীগের নীতি ও আদর্শ ছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদ। আজ আওয়ামী লীগ বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে। প্রতিটি জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টে লেখা আছে বাংলাদেশি, কোথাও বাঙালি লেখা নেই। এগুলো হচ্ছে বিএনপির রাজনৈতিক বিজয়। আমরা সেগুলো বলতে পারি না, জোরেশোরে প্রচার করতে পারি না। অন্য বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সময় পার করে দেই।

বিএনপির এই নেতা বলেন, অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তি শেখ মুজিবুর রহমান। রেসকোর্স ময়দানে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছিলেন সেই বক্তব্য নিয়ে আওয়ামী লীগ অহংকার করে। সেই রেসকোর্স ময়দানে দাঁড়িয়ে শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেব, তবু এই দেশকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ’। কিন্তু এ দেশকে মুক্ত করতে তিনিও রক্ত দেননি তার পরিবারের তার বংশের কেউ রক্ত দেয়নি। তার পরিবারে একজন মুক্তিযোদ্ধা খুঁজে পাবেন না যার পাশে বীরবিক্রম, বীরপ্রতীক পদবি আছে। আমাদের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নামের পাশে বীরউত্তম পদবি আছে, যে পদবিটি দিয়েছিলেন আজকের প্রধানমন্ত্রীর বাবা। আজকে প্রধানমন্ত্রীর বাবা এ উপাধি দিয়েছিলেন এটা জোর করে আদায় করার কিছু ছিল না। আজকে আপনারা (আওয়ামী লীগ) ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের মতো সমঝোতার বিষয় এটা ছিল না। এটা ছিল তার (জিয়ার) কর্মের স্বীকৃতি, তার দেশপ্রেমের স্বীকৃতি।

এ প্রজন্মের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আলাল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় ১১টি সেক্টর ছিল। সেই ১১টি সেক্টরের মধ্যে প্রথম সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। এবং জেড ফোর্সের প্রধানও ছিলেন তিনি ।

তিনি আরও বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইয়ের ১০৯ নম্বর পাতায় তিনি বলেছেন, যে দেশে মিথ্যা দিয়ে মামলা হয়, মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া হয়, মিথ্যায় প্রলুব্ধ হয়ে রায় দেয়া হয়, সেই দেশে ন্যায়বিচার আশা করা যায় না। সেই কথার প্রতিফলন আজকে আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বেলায় দেখছি। শেখ মুজিবুর রহমান যে কথা বলে গেছেন তার কন্যা তার বিপরীতে দাঁড়িয়ে কাজগুলো করছেন।

আলাল বলেন, বাংলাদেশকে একটি চিড়িয়াখানা তৈরি করেছে আওয়ামী লীগ। যেখানেই যাবেন সেখানেই মিথ্যুক পাবেন, ধর্ষক পাবেন, খুনি পাবেন, অসাধু ব্যবসায়ী পাবেন যারা অসৎ উপায় অবলম্বন করে আকাশচুম্বী টাকার পাহাড় গড়েছেন। এসব মিলে যে চিড়িয়াখানা তার নাম হচ্ছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

যুবদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, পেঁয়াজ ব্যবসায়ীকে মন্ত্রী বানালে পেঁয়াজ নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে অর্থমন্ত্রী বানালে ব্যাংকে টাকা থাকে না। ব্যবসায়ী দ্বারা মন্ত্রিপরিষদ ভরে দিয়েছে, ব্যবসায়ী দ্বারা ভরে দিয়েছে জাতীয় সংসদকে, এমনকি দলের নেতাকর্মী বানাচ্ছে সব ব্যবসায়ীকে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন ঘটনা আজ পর্যন্ত কেউ দেখেনি।

সংগঠনের সভাপতি এএসএম রাকিবুল ইসলাম আকাশের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লাবিদ রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশীদ, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক তানজীম রুবাইয়াত আফিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক লিংকন ভুইয়া প্রমুখ।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৬:২৬ | বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৯

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com