শুক্রবার ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আ.লীগ ও বিএনপির ২২ নেতা মনোনয়ন ঝুঁকিতে

  |   বুধবার, ২৮ নভেম্বর ২০১৮ | প্রিন্ট

আ.লীগ ও বিএনপির ২২ নেতা মনোনয়ন ঝুঁকিতে

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন ঝুঁকিতে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সিনিয়র ২০ নেতা। আওয়ামী লীগের তিন নেতাও আছেন মনোনয়ন ঝুঁকিতে। খালেদা জিয়াসহ বিএনপির নেতারা ইতোমধ্যে দলীয় মনোনয়ন নিয়েছেন। অনেকে মনোনয়নপত্র রির্টানিং অফিসে জমাও দিয়েছেন। মঙ্গলবার হাইকোর্ট এক আদেশের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, ফৌজদারি অপরাধে অন্যূন দুই বছরের দ-প্রাপ্তদের আপিল বিচারাধীন থাকলেও তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। বুধবার ২৮ নভেম্বর দুপুরে হাইকোর্টের এ আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। ফলে তদের নির্বাচনে প্রার্থীতা ঝুঁকির মুখে পড়েছে।

মনোনয়ন ঝুঁকিতে রয়েছেন- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা হাজী সেলিম, সাবেকমন্ত্রী ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মীর নাসিরউদ্দিন ও তার ছেলে ব্যারিস্টার মীর হেলালউদ্দিন, আমান উল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী সাবেরা আমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, বিএনপি ও ড্যাব নেতা ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, সাবেক এমপি আবদুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, আব্দুল ওহাব, সাবেক সাংসদ (ঝিনাইদহ) মশিউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী, সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, একেএম মোশাররফ হোসেন, হাজি মকবুল আহমেদ, জামায়াতে ইসলামীর শাহজাহান চৌধুরী, জয়নাল হাজারী, ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা, এম মোরশেদ খান ।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, কেউ ফৌজদারি মামলায় অন্যূন ২ বছর দণ্ডিত হলে ওই দণ্ড থেকে মুক্তি লাভ বা সাজা বাতিলের পর থেকে ৫ বছর অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এমনকি খালেদা জিয়া যদি এখন খালাসও পেয়ে যান, তার পরও তাকে নির্বাচনের জন্য পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। উল্লেখ্য, সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ একটি দুর্নীতির মামলায় ৩ বছরের দণ্ড থেকে গতবছর খালাস পেয়েছেন। এ ছাড়া মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী ৮ অক্টোবর একটি মামলায় ১৩ বছরের দণ্ড থেকে হাইকোর্টে খালাস পেয়েছেন।

নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন আজ বুধবার। মনোনয়নপত্র বৈধ না অবৈধ, তা জানা যাবে আগামী ২ ডিসেম্বর। এর পর নির্বাচন কমিশন ও উচ্চ আদালতে মনোনয়নপত্রের বৈধতা নিয়ে আপিল করা যাবে। তখন আপিল বিভাগ থেকে বিষয়টি নিয়ে একটা চূড়ান্ত ফয়সালা আসতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৪:১২ | বুধবার, ২৮ নভেম্বর ২০১৮

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com