নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় আসল পণ্যের মোড়ক ব্যবহার করে নকল পণ্য উৎপাদন ও বিক্রি করা হতো। এসব অভিযোগে ওই চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ওয়ারী বিভাগ।
গ্রেফতাররা হলেন- মো. মহিউদ্দিন ওরফে সাগর (৩৪), মো. নাজিম হোসেন (২৫), এম কে পারভেজ (৫২), মো. আনোয়ার হোসেন (২৪) ও মো. উজ্জ্বল হোসেন মুকুল (৩০)।
এ সময় তাদের কাছ থেকে নকল প্রসাধনী তৈরির মেশিন ও সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এছাড়াও দেশি-বিদেশি বিভিন্ন স্বনামধন্য কোম্পানির নামি-দামি ব্র্যান্ডের ইতালিয়ান স্কিন অলিভ অয়েল, ক্রিম, মেহেদী, ল্যুজ অলিভ অয়েল, কাস্টার অয়েল, গ্লিসারিন, হেয়ার রিমুভার ক্রিম, ডক্টরস ক্রিমসহ বিভিন্ন পণ্য জব্দ করা হয়। জব্দ করা এসব প্রসাধনীর বাজারমূল্য প্রায় তিন লাখ টাকা।
গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এসব প্রসাধনী তৈরি করে দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বিক্রি করতো চক্রটি। এর ফলে আসল পণ্য বিক্রেতারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এভাবে কমদামি নকল পণ্য বিক্রি করে চক্রের সদস্যরা বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
আজ (২৯ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর মুগদা এলাকায় অভিযান চালিয়ে নকল প্রসাধনী উৎপাদন চক্রের পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ চক্রটি অধিক মুনাফা লাভের আশায় দেশের নামকরা বিভিন্ন নামি-দামি ব্র্যান্ডের মোড়কে ভেজাল প্রসাধনী বিক্রি করতো। এর ফলে স্বনামধন্য কোম্পনিগুলোর সুনাম নষ্ট ও আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে।
ডিবি প্রধান আরও বলেন, নকল প্রসাধনী বাজারে ছাড়ার সময়ে চক্রটি ভেজাল প্রসাধনীগুলো অনিবন্ধিত ট্রেডমার্ক, নকল প্রতীক, নকল বিএসটিআই (লোগো) মোড়কে ব্যবহার করতো। ভেজাল প্রসাধনী ব্যবহারের ফলে সাধারণ ভোক্তারা স্কিন ক্যান্সারসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেকেই বলেন অলিভ অয়েল খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয় না। কিন্তু নকল অলিভ অয়েল খেয়ে অনেকের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হচ্ছে বলে আমাদের জানিয়েছেন।
গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে মুগদা থানায় একটি মামলা হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
Posted ০৮:০১ | মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain