বুধবার ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

আলেমে দ্বীন আল্লামা শফীকে কটাক্ষ করলেন ইনু : শহীদ জিয়াকে মীর জাফর বলার ধৃষ্টতা

  |   বুধবার, ১৪ আগস্ট ২০১৩ | প্রিন্ট

বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন আল্লামা আহমদ শফীকে তেঁতুল হুজুর বলে কটাক্ষ করে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ হেফাজত ইসলাম ও তেঁতুল হুজুরদের পক্ষ নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন। অথচ নারী-শিশুর হত্যা নিয়ে তারা মুখ খোলেন না।

বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে মাঝামাঝি থাকার সুযোগ নেই। যারা সমদূরত্বের নামে দূরে দূরে থাকছেন তারা আত্মহত্যা করছেন। আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে কার পক্ষে যাবেন। আপনাদের হয় খালেদা জিয়া, তেতুল হুজুরের পক্ষে যেতে হবে নয়তো শেখ হাসিনার পক্ষে আসতে হবে।

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ‘চতুর্থ মীর জাফর’ আখ্যায়িত করে ইনু বলেন, ইতিহাসে প্রথম বিশ্বাসঘাতক ছিলেন পলাশীর প্রান্তরের মীর জাফর, দ্বিতীয় মীর জাফর ছিলেন স্বাধীনতা বিরোধিতাকারী রাজাকার-আলবদররা এবং তৃতীয় মীর জাফর মোশতাক আহমেদ আর চতুর্থ মীর জাফর হলেন জেনারেল জিয়াউর রহমান। জেনারেল জিয়াই বাহাত্তরের সংবিধান কাটাছেঁড়া করে সামপ্রদায়িক শক্তিকে রাজনীতিতে সুযোগ করে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকারীরা আবারও ষড়যন্ত্র করছে। মিথ্যাচার মোকাবেলা না করা গেলে বঙ্গবন্ধুকে দ্বিতীয়বার হত্যা থেকে রক্ষা করা যাবে না। এটা একটা কঠিন সময়। স্বাধীনতা বিরোধীদের মূল কৌশল মিথ্যাচার, অপপ্রচার আর নাশকতার কৌশলকে ব্যবহার করে ধূম্রজাল সৃষ্টি করা।

প্রবীণ সাংবাদিক এবিএম মূসা বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে ষড়যন্ত্র ছিল। ১৫ আগস্টের হত্যাকারীদের মূল খুঁজে বের করতে হবে। এজন্য আমরা কেন বেসরকারিভাবে হলেও একটি কমিশন গঠন করছি না?

তিনি বলেন, আমার ৬২ বছরের জীবনে সবচেয়ে বড় ভুল ছিল বঙ্গবন্ধুর সমালোচনা না করা। সমালোচনা মানে বিরোধিতা নয়। এজন্যই এ সরকারের সমালোচনা করি। যতদিন বেঁচে আছি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বেঁচে থাকব।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর এটা আওয়ামী লীগকেই করতে হবে। ব্যর্থ হলে তাকে আরেক বার হত্যা করা হবে।


আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী বলেন, সব হত্যার বিচার করলেই জাতি কলঙ্কমুক্ত হয় না। শেখ মুজিবকে প্রতিষ্ঠা করতে আওয়ামী লীগ বার বার ব্যর্থ হয়েছে। কারণ তারা বঙ্গবন্ধুকে রাজনৈতিক প্রচারণার জন্য ব্যবহার করেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন ব্যক্তির নাম নয়, তিনি একটি বিপ্লবের নাম। যা খুন করলেই শেষ হয়ে যায় না। হত্যাকারীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেনি, তারা হত্যা করেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র আর বাংলাদেশকে।

সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার পেছনের সব ষড়যন্ত্র জনসম্মুখে উন্মোচন করতে হবে। এর জন্য সরকারকে কমিশন তৈরি করতে হবে যার কাজ হবে সব ষড়যন্ত্রকারীকে বিচারের সম্মুখীন করা।

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সভা
পতি
ওমর ফারুক চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব আব্দুল জলিল ভূইঞা, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শাহেদ চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কার্তিক চ্যাটার্জী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আলতাফ মাহমুদ, কবি আসাদ চৌধুরী প্রমুখ।

For News : news@shadindesh.com
Facebook Comments Box
advertisement

Posted ২৩:০৭ | বুধবার, ১৪ আগস্ট ২০১৩

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com