বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, এবার আর খালি মাঠে গোল দিতে দেবো না। জনগণকে নিয়ে থাকবো, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে, আগামী নির্বাচনে অংশ নেবো এবং শান্তিপূর্ণভাবে ভোটের মাধ্যমে সরকারকে অপসারণ করবো। কোনো সহিংসতার মাধ্যমে নয়। এই প্রেসক্লাবে এসব করে কাজ হবে না। ১ অক্টোবর থেকে সবাই রেডি হয়ে যান।

মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ৭১ কেন্দ্রীয় কমিটি এ সমাবেশের আয়োজন করে।

আওয়ামী লীগ মিথ্যাচারে ‘চ্যাম্পিয়ন’ অভিযোগ করে মওদুদ বলেন, আমরা কেউ তাদের সঙ্গে মিথ্যাচারে পারবো না। তারা অকথ্য মিথ্যাচার করে। মিথ্যাচারের কোনো শেষ নেই।

তিনি বলেন, কোনো ঘটনাই ঘটেনি, তারপরও ভৌতিক মামলা, গায়েবি মামলা দেওয়া হচ্ছে। চমৎকারভাবে বর্ণনা করা হয়। দেখতে মনে হয় যেন সত্যিই ঘটনা ঘটেছে। সারাদেশের সকল গ্রামে গ্রামে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ছাত্রলীগ, যুবলীগের সহায়তায় একশো-দেড়শো নাম দিয়ে বাকি অজ্ঞাত আসামি রেখে মামলা দেওয়া হয়। ফ্যাসিস্ট দেশেই এটা সম্ভব, কোনো গণতান্ত্রিক দেশে এটা হতে পারে না।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গঠিত ‘বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য’ গঠিত হয়। এই জোট প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘খুনি, দুর্নীতিবাজ, অর্থপাচারকারী ঘুষখোর ও সুদখোররা সব আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্য গড়েছে।’

এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এ ধরনের অশালীন বক্তব্য আমরা কখনও আশা করি না । প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যে প্রমাণ হয়, সরকার আতঙ্কিত হয়েছে, বিচলিত হয়েছে।

মওদুদ আরও বলেন, পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে গত ১০০ বছরে সবচেয়ে বড় ডিক্টেটর (স্বৈরাচার) হচ্ছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। বিশ্ব আপনাকে স্বীকৃতি দিচ্ছে, আমরা বললাম না বললাম তাতে কিছু আসে যায় না।