বৃহস্পতিবার ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আবদুল হামিদকে রাজসিক সংবর্ধনা

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   সোমবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট

আবদুল হামিদকে রাজসিক সংবর্ধনা

দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে রাষ্ট্রপতির আসনে থাকা মো. আবদুল হামিদকে বিদায়ী সংবর্ধনা জানানো হয়েছে। সোমবার (২৪ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনের শপথগ্রহণের পর আবদুল হামিদকে রাজসিক সংবর্ধনা জানানোর পর্ব শুরু হয়।

 

এ দিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিদায়ী সংবর্ধনার আনুষ্ঠানিকতা শুরুর পর প্রথমেই প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর) আবদুল হামিদকে গার্ড অব অনার দেওয়া ছাড়াও অভিবাদন জানায়। ক্রেডেনশিয়াল গ্রাউন্ডে বিদায়ী গার্ড অব অনার প্রদানের পর তাকে ফুলসজ্জিত একটি খোলা জিপে বঙ্গভবনের ফোয়ারা এলাকা থেকে প্রধান গেটের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়।

 

এরপর বঙ্গভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিদায়ী রাষ্ট্রপতিকে বহনকারী জিপটিকে দড়ি দিয়ে বেঁধে সেটিকে টেনে নিয়ে যান। এ সময় রাস্তার দুই পাশ থেকে ফুলের পাপড়ি ছিটানো হয়। পরে প্রধান গেট থেকে ভিভিআইপি প্রটোকলে বিদায়ী যাত্রা করেন আবদুল হামিদ।

 

পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, নিকুঞ্জ-১ এর ক-ব্লকের ৩ নম্বর রোডের ‘রাষ্ট্রপতি লজ’ নতুন ঠিকানা হবে আবদুল হামিদের। সেখানে এরই মধ্যে পরিবারের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও অন্যান্য সামগ্রী স্থানান্তর করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে।

 

১৯৯৬ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর নিকুঞ্জ-১ আবাসিক এলাকার দুই নম্বর সড়কে তিন কাঠা জমি পান আবদুল হামিদ। ২০০০ সালের শেষ দিকে সেখানে বাড়ির কাজ শুরু করেন। কয়েক বছর কাজ শেষে তৈরি হয় তিনতলা বাড়ি।

 

দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে আসীন থাকা বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আবদুল হামিদের জন্ম কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে। হাওরাঞ্চলে জন্ম নেওয়া এই মানুষটি ছাত্রলীগে যোগ দেওয়ার মধ্যদিয়ে শুরু করেন তার রাজনৈতিক জীবন। এরপর দেশের জন্য সকল আন্দোলন সংগ্রামে সম্মুখ সারিতে থেকে কাজ করে নিজেকে নিয়ে গেছেন অন্য উচ্চতায়।

 

মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন দেশ স্বাধীন করতে। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে আবদুল হামিদকে স্বাধীনতা পদকেও ভূষিত করেছে সরকার। ১৯৫৯ সালে ছাত্রলীগে যোগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে সে সময়ের ময়মনসিংহ-১৮ (বর্তমানে কিশোরগঞ্জ-৪) আসন থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য নির্বাচিত হন আবদুল হামিদ।

 

১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ দেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৫ আসন থেকে নির্বাচিত হন আবদুল হামিদ। ১৯৮৬ সালের তৃতীয় সংসদ নির্বাচন, ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচন, ১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচন, ২০০১ সালের অষ্টম সংসদ এবং ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

 

সপ্তম সংসদে ১৯৯৬ সালের ১৩ জুলাই থেকে ২০০১ এর ১০ জুলাই পর্যন্ত ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালনের পর ২০০১ এর ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত স্পিকার হিসেবে সংসদ পরিচালনা করেন আবদুল হামিদ। নবম সংসদে নির্বাচিত হওয়ার পর দ্বিতীয়বারের মতো স্পিকার হন।

 

দেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের অসুস্থতার কারণে ২০১৩ সালের ১১ মার্চ অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পান আবদুল হামিদ। জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর ২০১৩ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন তিনি। ওই বছরের ২৪ এপ্রিল শপথ নেন দেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে। এরপর ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেন।

 

বাংলাদেশে এত দীর্ঘসময় রাষ্ট্রপতি থাকার রেকর্ড আর কারও নেই। বাংলাদেশের আইনে দুই মেয়াদের বেশি কারও রাষ্ট্রপতি থাকার সুযোগও নেই।

সূএ: ঢাকা মেইল ডটকম

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ০৯:০৯ | সোমবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৩

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com