| শুক্রবার, ১৬ মার্চ ২০১৮ | প্রিন্ট
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে সরকার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে। তারা একদিকে বলে নির্বাচনে আসুন, অন্যদিকে বিরোধী দলকে কোনো কথা বলতে, সভা-সমাবেশ করতে দিচ্ছে না। এটা কেমন প্রতারণা? আসলে প্রতারণা বলতে যা বোঝায়, আওয়ামী লীগ তার চ্যাম্পিয়ন।
শুক্রবার (১৬ মার্চ) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে খালেদা জিয়ার কারাবাস দীর্ঘায়িত করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এক আলোচনা সভা তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, সরকারের নীতি নৈতিকতা বলে কিছু নাই। তারা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় না। তারা চায় বিএনপি নির্বাচনে না আসুক। কারণ তাদের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি।
মওদুদ বলেন, বিএনপি টিকে আছে মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের ওপর নির্ভর করে। কিন্তু তিনি। ক্ষোভের সুরে বললেন, মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের হাত-পা বেঁধে বিএনপিকে সাঁতার কাটতে বলা হচ্ছে। বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী এখন জেলখানায়। যারা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবে তাদেরকে মামলা দিয়ে কারাগারে রাখা হয়েছে
নির্বাচন কমিশনেরও (ইসি) কঠোর সমালোচনা করেছেন মওদুদÑ এই নির্বাচন কমিশনের কোমরে কোনও জোর নেই। তাদের নূন্যতম সাহস নেই। একটি দল সরকারি খরচে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে প্রচারণা করে, আর এই কমিশনের কিছুই করার থাকে না।
ভোট চাওয়ার জন্য যে কোনও প্রতিশ্রুতি দেখানোই নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেন মওদুদ। তার চোখে, এটি নির্বাচনি আইনের পরিপন্থী। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দলের সভানেত্রী হিসেবে ভোট চাইতে পারেন, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকারি খরচে নির্বাচনি প্রচারণা করতে পারেন না। সভানেত্রী হিসেবে ভোট চাওয়ার সেই একই অধিকার বিরোধী দলকেও দিতে হবে।
আলোচনা সভায় আরও ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাৎ হোসেন সেলিমসহ অনেকে।
Posted ১৫:১৮ | শুক্রবার, ১৬ মার্চ ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain