নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
চট্টগ্রাম মহানগরে রিকশার কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। কত রিকশা, কত চালক, কতজনের লাইসেন্স আছে- এসবের সঠিক কোনো তথ্য নেই। ৭০ হাজার রিকশার লাইসেন্স থাকলেও তা এখন লাখেরও বেশি। নগরে চলছে অবৈধ রিকশা। বাড়ছে যানজট। সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নগরের রিকশাগুলোকে লাইসেন্স দেয়।
তবে চসিক এবার অবৈধ রিকশার লাগাম টানার উদ্যোগ নিয়েছে। রিকশাচালক-মালিকদের দেওয়া হবে বারকোড। আগামী মাস থেকে এ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা। এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হবে রিকশা। চালক-মালিককে দেওয়া হবে লাইসেন্স। কমবে অবৈধ রিকশার দৌরাত্ম্য, কমবে যানজট, চসিকের আদায় হবে রাজস্ব।
চসিকের রাজস্ব বিভাগ সূত্রে জানা যায়, রিকশার বারকোড নিতে ইতোমধ্যে চসিকের অর্থ স্ট্যান্ডিং কমিটি ফি নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে রেজিস্ট্রেশন ফি (নিবন্ধন) ৩০০ টাকা, লাইসেন্স ফি ১০০ টাকা ও আবেদন ফরম ফি ৫০ টাকাসহ মোট ৪৫০ টাকা পরিশোধ করতে হবে। এরপর দেওয়া হবে বারকোড সংবলিত রিকশার লাইসেন্স। এর মেয়াদকাল থাকবে দুই বছর। প্রতি বছর ১০০ টাকা ফি দিয়ে তা নবায়ন করতে হবে। লাইসেন্সের আবেদন ফরম নিতে হবে রিকশার মালিক-চালক দুজনকেই। রিকশাচালকদের ৫০ টাকার ফির মাধ্যমে দেওয়া হবে ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ড। বারকোডের লেনদেন হবে ব্যাংকের মাধ্যমে।
চসিকের রাজস্ব কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরিজ বলেন, নগরে বর্তমানে ৭০ হাজার রিকশার লাইসেন্স আছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা লাখের বেশি হবে। রিকশাগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনতে বারকোড প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ৭০ হাজার রিকশাকে বারকোড দেওয়া হবে। পরে অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নিয়ে আরও বাড়ানো হতে পারে। ইতোমধ্যে নানা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। আগামী মাস থেকে কার্যক্রম শুরু হবে। তফসিলে নির্ধারিত ফি আদায় করা হবে। বাড়তি কোনো টাকা নেওয়া হবে না। এর মাধ্যমে রিকশাকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। কমবে যানজট, আদায় হবে রাজস্ব। সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন
Posted ০৪:৫৮ | মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain