| শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০১৩ | প্রিন্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৮ দলের ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের কর্মসূচি শেষে রমনা পার্কের সামনের রাস্তা হয়ে আসার পথে ১৮দলের অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীদের উপর বেধড়ক লাঠি পেটা করে পুলিশ। এসময় পুলিশের অতর্কিত হামলায় তাদের ছত্র ভঙ্গ হয়ে যায় ও পুলিশের লাঠি পেটায় কয়েকজন গুরুতর আহত হয়ে এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় কয়েকজনকে গ্রেফতারও করে নিয়ে যায় পুলিশ।
এদিকে শুক্রবার বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অসাংবিধানিকভাবে নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রতিবাদে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে ১৮ দলের এ বিক্ষোভ সমাবেশে মির্জা ফখরুল সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, নির্দলীয় সরকারের দাবি না মেনে একতরফা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশ অচল করে দেয়া হবে।
এদিকে, আগামী রোববার নির্দলীয় সরকারের দাবিতে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।
বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর বিএনপির আহবায়ক সাদেক হোসেন খোকা বলেন, ৫জন গুরুত্বপূর্ন নেতাসহ ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, জুলুম নির্যাতন যতই বাড়বে, আন্দোলন ততোই প্রকট হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, দেশের মানুষ আজকে একটি ক্রান্তলগ্ন পার করছে। আজ থেকে ২ বছর আগে আওয়ামী লীগ সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দেশে এ সঙ্কট সৃষ্টি করেছে।
মির্জা আব্বাস বলেন, সরকার বাংলাদেশকে ভারতের তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। কিন্তু বাংলার জনগণ বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দেশের স্বাধীনতা এনেছে। প্রয়োজনে আবারো রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দেবে, কিন্তু পরাধিনতা মেনে নেবে না।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বরকতউল্লাহ বুলু বলেন, সরকার অচল হয়ে পরেছে, তাই হিংসাত্মকভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাচ্ছে। সরকার সব ধরনের কূট-কৌশলকে দেশের জনগণকে নিয়ে প্রতিহত করা হবে।
আমান উল্লাহ আমান বলেন, ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, নির্যাতন করে বিরোধী দলের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির আন্দোলন কোনোভাবেই বন্ধ করা যাবে না। সরকার নিজেদের টিকিয়ে রাখার জন্য নিদ দলীয় অধীনে নির্বাচন করে পুনরায় ক্ষমতায় আসতে চাচ্ছে।
বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বর্তমান সরকার অবৈধ, প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রী পরিষদ অবৈধ। আপনারা সময় থাকতে পদত্যাগ করুন।
জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান বলে, বর্তমান সরকার সর্বদলীয় বা বহুদলীয় সরকার নয়- এটা হিন্দুস্তানের রাজাকার সরকার। আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা হাসিনার রাজাকার সরকারকে এই সোহরাওয়ার্দীর উদ্যোনে আত্মসমর্থনে বাধ্য করা হবে।
জামায়াতের কর্মপরিষদের নেতা ডা. আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, এ সরকারের অধীনে এ দেশে কোনো নির্বাচন করতে দেয়া হবে না। গণআন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারের পতন ঘটিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হবে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, জামায়াতের কর্মপরিষদের সদস্য ডা. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজর রহমান ইরান, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুস সালাম, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ।
Posted ১৪:৫২ | শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০১৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin