নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: হেফাজতের মাঠে নামার সাহস নেই জানিয়ে আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলন আর হেফাজতের সমাবেশ একই সূত্রে গাঁথা।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া এবং জামায়াত-শিবির মিলে হেফাজতকে মাঠে নামিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাইছে। কিন্তু যে কোনো মূল্যে তাদের প্রতিহত করা হবে।’
সোমবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের বর্থিত সভায় কামরুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া আল্টিমেটাম দিয়েছেন। আমরা অতীতেও তার আল্টিমেটাম দেখেছি। মঙ্গলবার তিনি সংবাদ সম্মেলনে করবেন। একই দিন হেফাজত সমাবেশ করবে। এটা কাকতালীয়ভাবে মিলে গেছে মনে হলেও এটা তাদের পূর্বপরিকল্পিত।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সজাগ থাকতে হবে। যেন তারা মাঠে নামতে না পারে। যদি তারা মাঠে নামার চেষ্টা করে, নৈরাজ্য করতে চায় তাহলে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের প্রতিহত করব, প্রতিহত করব, প্রতিহত করব।’
কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকরের পরে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে নিন্দা প্রস্তাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা কূটনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত। একটি দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিরুদ্ধে কোনো দেশ, কোনো দেশের পার্লামেন্ট বা কোনো ব্যক্তি এ ধরনের কথা বলতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘এই ঘটনার পরে দেশের সকল মানুষ পাকিস্তানের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। কিন্তু খালেদা জিয়া-জামায়াতে ইসলাম কোনো কথা বলছে না। তারা রাজনীতি করেন পাকিস্তানের টাকায়। তাই তারা এ দেশের মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।’
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘কাল বিষাক্ত সাপ ঢাকায় আসছে। তাদের লাঠি দিয়ে নিধন করতে হবে। তারা ইসলামের শত্রু , দেশের শত্রু। এদেশে তাদের বাঁচা ও থাকার অধিকার নেই।’
তিনি বলেন, ‘কোনো শত্রু ও শয়তানকে ছোট করে দেখতে নেই। কারণ শয়তান কখন কাঁধে চড়ে বসে আর শত্রু কখন ক্ষতি করে বসে বলা যায় না।’
মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।
