নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | প্রিন্ট
সময় সোমবার সকাল সাড়ে ৭টায় ঝড়টি আঘাত হানে। বেবিনকাকে বলা হচ্ছে ১৯৪৯ সালের পর সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ঘণ্টায় ১৫১ কিলোমিটার গতিতে ঝড়টি আঘাত হেনেছে। এর আগে ১৯৪৯ সালে টাইফুন ‘গ্লোরিয়া’ এমন তীব্র শক্তি নিয়ে আঘাত হেনেছিল।
টাইফুনের এমন শক্তিশালী আঘাত সাংহাইয়ের জন্য খুবই অস্বাভাবিক। ৭৫ বছর আগের টাইফুন ‘গ্লোরিয়া’ ব্যতীত এতটা বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর কখনও শহরটিতে দেখা যায়নি।
যদিও দক্ষিণ চীনে টাইফুনের আঘাত স্বাভাবিক ঘটনা, কিন্তু সাংহাইয়ে এরকম ঘটনা খুব কমই ঘটে থাকে। গত সপ্তাহেই চীনের হাইনান প্রদেশে ক্যাটাগরি ৪ এর সুপার টাইফুন ‘ইয়াগি’ আঘাত হেনেছিল। আর তার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ‘বেবিনকা’ আছড়ে পড়ল সাংহাইতে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বেবিনকা উত্তর-পশ্চিমে সরে যাওয়ার আশা করা হচ্ছে, যার ফলে জিয়াংসু, ঝেজিয়াং এবং আনহুই প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাত এবং প্রবল বাতাস বয়ে যাচ্ছে।
টাইফুনের প্রভাবে শহরজুড়ে চরম অচলাবস্থা বিরাজ করছে। রবিবার রাত থেকেই সাংহাইয়ের দুটি বিমানবন্দরের ফ্লাইট চলাচল বাতিল করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, শহরের ট্রেন পরিষেবা বাতিল করা হয়েছে, বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে হাইওয়েও।
এছাড়াও রিসোর্ট ও পার্কসহ চিড়িয়াখানাগুলো বন্ধ করা হয়েছে এবং বন্ধ রয়েছে ফেরি চলাচলও। সাংহাইয়ের ২৫ মিলিয়ন বাসিন্দাদের ঘরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সাংহাই বন্যা নিয়ন্ত্রণ সদর দফতরের তথ্যানুসারে, অগ্রিম সতর্কতা হিসেবে রবিবার সন্ধ্যার মধ্যে ৪ লাখেরও বেশি মানুষকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
শহর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইয়াংজি নদীর মোহনায় অবস্থিত দ্বীপ চংমিং জেলা থেকে আরও ৯ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
শহরের বন্যা নিয়ন্ত্রণ সদর দফতর জানিয়েছে, তারা টাইফুনের সাথে সম্পর্কিত ঘটনার কয়েক ডজন রিপোর্ট পেয়েছে- বেশিরভাগই ঝড়ে উপড়ে যাওয়া গাছ এবং বিলবোর্ড।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বেবিনকা উত্তর-পশ্চিমে সরে যাওয়ার আশা করা হচ্ছে, যার ফলে জিয়াংসু, ঝেজিয়াং এবং আনহুই প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাত এবং প্রবল বাতাস বয়ে যাচ্ছে। সূত্র: রয়টার্স
Posted ০৮:২১ | সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain