নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, সরকারের এখন সবচেয়ে বড় অস্ত্র মিথ্যাচার। এই মিথ্যার মাধ্যমে তারা সব গণমাধ্যমে দেখাচ্ছে যে, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। এই নির্বাচনকে আবার পুরো দুনিয়া অভিনন্দন জানাচ্ছে।
তিনি বলেন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী তার মন্ত্রণালয়কে মিথ্যাচারের মন্ত্রণালয় বানিয়েছেন। সেই সাফল্যের ধারায় তাকে এখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করা হয়েছে। যেন তিনি বিদেশিদের কাছে গিয়েও মিথ্যাচার করতে পারেন। এই ডামি নির্বাচনকে বারবার সুষ্ঠু নির্বাচন বলতে থাকলে একদিন সবাই এটাই বিশ্বাস করতে থাকবে।
শনিবার প্রেস ক্লাবের সামনে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত গণতন্ত্রের পক্ষে গণস্বাক্ষর শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষকে আবার নতুন করে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। ভয় ও ত্রাসের রাজত্বের বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে। সরকার মিথ্যা বলতে বলতে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে।
তিনি আরও বলেন, এ নির্বাচন হচ্ছে পারিবারিক নির্বাচন। তারা বলেছিল এই ভাগ বাটোয়ারার নির্বাচনকে সুষ্ঠু করা হবে। কিন্তু আদৌ তা সুষ্ঠু হয়নি। মারামারি, সংঘাত হয়েছে। ভোটের মাঠগুলো ছিল বিরানভূমি, মানুষের লাইন আমরা দেখিনি। তাহলে এই ৪১ শতাংশ আসল কোথা থেকে? যারা বলছে আমরা ১ থেকে দেড় লাখ ভোট পেয়েছি, তো তারা তাদের ভোটকেন্দ্রের ভিডিও ফুটেজ আমাদের দেখায় না কেন। মূল ঘটনা হচ্ছে, এই ২-৩ শতাংশ ভোটকে অনেক বেশি দেখানোর জন্য ব্যালটে নিজেদের মতো সিল মেরেছেন।
জোনায়েদ সাকী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ৭৫ এর পর নাকি এতো সুষ্ঠু নির্বাচন আর হয়নি। এটা নাকি স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। আসলে কোন অক্ষরে লেখা থাকবে, এটা জনগণই নির্ধারণ করে দেবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ।
Posted ০৭:৩৫ | শনিবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain