গাধা পানি পান করার পূবর্ে পানি ঘোলা করে, তার পর এই ঘোলা পানি পান করে।এটা গাধার অভ্যাস। বতর্মানে আওয়ামীলিগের নেত্রী শেখ হাসিনা সহ আওয়ামীলিগের কেন্দ্রিয় সকল নেতৃবৃন্দের বক্তব্য হচ্ছে দশম জাতীয় নিবর্াচনের সব কিছু প্রস্তুত, তাই দশম জাতীয় নিবর্াচন নিয়ে আলোচনার কোন সুযোগ নেই। তবে বিরোধী দলের সাথে সমঝোতা হলে দশম জাতীয় সংসদের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করার পর সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নিবর্াচন অনুষ্ঠিত করা হবে।
গত ২২সে ডিসেম্বর বি এন পির স্থায়ী কমিঠির সদস্য নজরুল ইসলাম খাঁন গুলসান অফিসে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, বর্তমান সংসদ এখনো বৈধ আছে, এই সংসদের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করে চলমান সমস্যার সমাধান সম্ভব। দেশের সংবিধান বিশেষঙ্ঘরা, নজরুল ইসলাম খাঁনের বক্তবে্যর সাথে একমত।
কথা হল, দশম সংসদ নিবর্াচনের পরে যদি সংবিধান সংশোধন করে সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়, তাহলে বর্তমান সংসদের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করে সমস্যার সমাধান না করে, গাধার পানি ঘোলা করার মত দেশের রাজনীতিকে ঘোলাটে করে মানুষের প্রাণহানী ঘটানো হচ্ছে? কেন রাষ্ট্রিয় এবং মানুষের ব্যক্তিগত সম্পদের ক্ষতি সাধন করানো হচ্ছে?
আসলে শেখ হাসিনার আওয়ামী সরকার দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ ঘোলা করে, সেই ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার পরিকল্পনা করছে। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, যে কোন উপায়ে বিরোধী জোটের আন্দোলনকে দমন করে, একদলীয় সংসদের মাধ্যমে, পেটুয়া পুলিশের সহযোগিতায় ক্ষমতা চীর স্থায়ী করা।
এদিকে নিবর্াচন কমিশনার রকিব উদ্দিন আওয়ামীলিগের বিশ্বস্ত দালাল হয়ে দেশের বরোটা বাজাচ্ছেন। ২৩সে ডিসেম্বর সোমবার যুক্তরাষ্ট্র লিখিত ভাবে সিসিকে জানিয়ে দিয়েছে, এক দলীয় নিবর্াচনে তারা পযর্বেক্ষক পাঠাবে না। ইতিপূবের্ কমনওয়েলথ এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও পযর্বেক্ষকের ব্যাপারে সমান বক্তব্য দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে্য রকিব উদ্দিনের বক্তব্য, বিদেশী পযর্বেক্ষক না আসলে নিবর্াচনের কোন ক্ষতি হবে। রকিব উদ্দিনের এমন বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্রকে কাটা গায়ে নুনের চিটার মত। রকিব উদ্দিন সাহেব আওয়ামীলিগের দালালী করতে গিয়ে দেশের স্বাথর্কে তুচ্চ করে দেখছেন। তিনি ভুলে গেছেন দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মূল উৎস হচ্ছে পোষাক শিল্প। আর এ পোষাক শিল্পের সব কিছুই হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ। আজ পৃথিবীর সবার কাছে ৫ তারিখের নিবর্াচন অগ্রহণ যোগ্য। প্রধান নিবর্াচন কমিশনার হিসাবে রকিব উদ্দিন এর দায়ভার এড়িয়ে যেতে পারবেন না। তাই রকিব উদ্দিনের উচিত আওয়ামীলিগের গোলামী না করে, অন্তত একবার দেশের বৃহত্তর স্বাথের্ পদত্যাগ করে দেশকে রাজনৈতিক এবং অথর্নৈতিক সংঘাত থেকে রক্ষা করা।
শেখ হাসিনার আওয়ামী সরকার শুধু ভারতকে খুশী এবং ভারতের তাবেদারী করতে গিয়ে, জাতিসংঘ, ইউরোপিয়ান
ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন এবং আরবলীগ সহ সমস্ত পৃথিবীকে বংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বাড় করিয়েছে। দেশের স্বাধীনতা-স্বাবর্ভৌমত্ব এবং অথর্নীতি আজ বিরাট হুমকির সম্মূখিন।
তাই শেখ হাসিনার উচিত, দেশের রাজনৈতিক পরিস্তিতি ঘোলাটে করে দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে না দিয়ে, প্র্রধান মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে, নিরপেক্ষ সরকার গঠনের মাধ্যমে একটি সুষ্ট নিবর্াচন অনুষ্ঠিত করা। এতে দেশ এবং জনসাধারণ সবাই সংঘাতের হাত থেকে রক্ষা পাবে।
