শাহরিয়ার মিল্টন | রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট
শেরপুর : উন্নত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ও উচ্চ মূল্যের ফসল হিসেবে বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার কৃষকরা এখন রঙিন ফুলকপি চাষের দিকে ঝুঁকছেন। এমনি এক সফল চাষি সীমান্তবর্তী রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের পানিহাটা গ্রামের মোহাম্মদ আলী। তিনি এবার ১৫ শতাংশ জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষ করেছেন। এরইমধ্যে তিনি এ জাতের কপি বিক্রি করে লাভের মুখ দেখেছেন। রঙিন ফুলকপি চাষে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে চাষি মোহাম্মদ আলীর। হলুদ ও বেগুনি রঙের এ ফুলকপি স্বাদেও যেমন, তেমনি উচ্চ মূল্যে বিক্রি করা যায়।
বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় নালিতাবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সহযোগিতায় রঙিন কপি চাষ করেন চাষি মোহাম্মদ আলী। এ কপি চাষ করে আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতা অর্জন করেছেন তিনি। চাষি মোহাম্মদ আলী জানান, রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের পানিহাটা এলাকার জমি অপেক্ষাকৃত উঁচু। এখানে ১৫ শতাংশ জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে রঙিন ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ করে প্রথম বছরই বাম্পার ফলন পেয়ে বেশ লাভবান হয়েছেন তিনি।
নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি অধিদফতরের সহযোগিতায় তিনি এ রঙিন ফুলকপি চাষে উদ্বুদ্ধ হন। তিনি হলুদ ও বেগুনি রঙের ক্যারোটিনা জাতের ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ করেছেন। এসব কপির পুষ্টিগুণ ও চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। এমনকি আবাদি ক্ষেত থেকেই ক্রেতারা এ কপি কিনে নিয়ে যান। প্রতিটি কপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা মূল্যে বিক্রি করে সফল চাষি হিসেবে বেশ খুশি তিনি। এছাড়া আলু, টমেটো ও মরিচ আবাদ করে সংসারের চাহিদা পূরণ করে বাড়তি আয় করছেন তিনি। তার এ কৃষি আবাদ দেখে এলাকার চাষিরা উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।
অল্প জমিতে এসব নিত্য নতুন ও চাহিদাপূর্ণ রবিশস্য ও সবজি আবাদ করে একজন সফল চাষি হিসেবে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন পাহাড়ি জনপদের মোহাম্মদ আলী। তার ৭০ শতাংশ জমি থেকে শীতকালীন বিভিন্ন সবজিসহ রঙিন কপি চাষ করে মাসে আয় করেন ৩০ হাজার টাকা।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ আনোয়ার হোসেন বলেন, রঙিন ফুলকপি হলো উচ্চ মূল্যের ফসল। এ জাতের কপিতে বিটা ক্যারোটিন ও এন্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সক্ষম। নালিতাবাড়ীতে এ বছর চারজন চাষিকে রঙিন ফুলকপি চাষের প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে। তাই আগামী মৌসুমে কোনো চাষি আগ্রহী হলে উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে তাদের সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
Posted ১৫:৩৯ | রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin