মোরেলগঞ্জ(বাগেরহাট)প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে কামিল পাসের জাল সনদে চাকরি নেয়া এক মাদরাসা অধ্যক্ষের বিচারের দাবিতে মাদরাসা চত্ত্বরে মানববন্ধন করেছে মাদরাসা সংশ্লিষ্ট ওই এলাকাবাসী ।
উপজেলার সোনাখালী পিকে মোহসীনিয়া সিনিয়র আলীম মাদরাসা চত্বরে শনিবার দুপুরের দিকে এ মানববন্ধন কর্মসুচী পালন করা হয়।
জাল সনদধারী অধ্যক্ষ মাওলানা শিহাব উদ্দিনের বিচার দাবিতে মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ প্রবীণ নেতা আব্দুল জব্বার শিকদার, মাদরাসার দাতা সদস্য মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, মাদরাসা শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক, প্রফেসর মাইনুল ইসলাম, মাষ্টার সিদ্দিকুর রহমান, হাফেজ খলিলুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা শেখ গোলাম মোস্তফা, সাদিকুর রহমান ও বাহাদুর শিকদার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন,শিহাব উদ্দিনের ১৯৮৫ সালে কামিল পাসের ভুয়া সনদ দিয়ে মাদরাসার অধ্যক্ষ চাকরি নেন। যা বিভিন্ন সময় প্রমানিত হয়েছ। তার পরেও তিনি নানা কুট কৌসলে স্বপদে বহাল রয়েছেন।
জানাগেছে, এ বিষয়ে মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতার ছেলে মাস্টার সিদ্দিকুর রহমান মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দায়ের করেন। একাধিক দফতর থেকে ওই অভিযোগের তদন্ত হয়। তদন্তে তার কামিল পাসের সনদ জাল তা প্রমাণিত হলেও তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়না। শুধু সনদ জালিয়াতি নয়, অধ্যক্ষ শিহাব উদ্দিন ২০ সালে মাদরাসায় কর্মচারী নিয়োগ প্রদানে ৬ জন প্রার্থীর নিকট থেকে বিভিন্ন মেয়াদে মোট ৮ লাখ ১৮ হাজার টাকা ঘুষ নেয়। যা পরে ধরা পড়ে। পরে মাদরাসা পরিচালনা বোর্ডের এক সভায় এ টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে সব টাকা ফেরত দেয়ার লিখিত অঙ্গীকার করেন ।
এছাড়া কামিল পাসের ভুয়া সনদে চাকরি, সরকারিভাবে বরাদ্দ পাওয়া অর্থ আত্মসাৎ ও অবৈধ নিয়োগ দানের বিষয়ে মাও. শিহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে পুটিখালি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান শিকদার বাগেরহাট সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতে মামলা করেন।পরবর্তীতে মাদ্রাসার জমিদাতা সদস্য মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম শিকদার বাদী হয়ে আরও একটি মামলা করেন যা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।