তখন তাকে নিয়ে যাই মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তারের কাছে।আর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পরই আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে।ডাক্তাররা সকল পরিক্ষা নিরিক্ষা করার পর যখন আমাকে বলেন যে তাদের ঐ খানে সিজার করার কোন ব্যাবস্হা নেই।আর আমার স্ত্রীর সিজার ছাড়া সাধারণ ভাবে বাচ্চা প্রসব করানো কোন অবস্থাতেই সম্ভব নয়।তারা আমাকে বলে আপনি খুব দ্রুত কোন প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করান।তার শারীরিক অবস্থা ও বাচ্চার যে পজিশন তাতে করে নরমাল বাচ্চা প্রসব সম্ভব নয়।
তিনি বলেন তখন আমার পক্ষে কোন অবস্থায় প্রাইভেট ক্লিনিকে রেখে আমার বৌ এর সিজার করানো সম্ভব ছিলো না।কারন আমি যে টাকা ইনকাম করি তা দিয়ে প্রাইভেট ক্লিনিকের খরচ বহন করার মতো ক্ষমতা আমার নেই।কোন উপায় খুজে পাচ্ছিলাম না কি করবো,কিভাবে টাকা ম্যানেজ করবো।মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে টাকার ম্যানেজ করতে পারি নাই।এদিকে সময়ও খুব কম হাতে।কোন উপায় না পেয়ে আমি আমার গ্রামের বাড়ি বন্ধক রাখি তারপর আমার স্ত্রীর সিজার করাই।
এ সম্পর্কে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জীবিতেশ বিশ্বাস বলেন মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৫০ টা নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে বাচ্চার জন্ম হয়।এর পাশাপাশি আরো ৩০ থেকে ৫০ জন প্রসূতি মাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো লাগে।এর কারন হলো যেহেতু আমাদের এখানে সিজার হয় না। তাছাড়া মোংলায় জোয়ার না হলে কোন গাড়ী নদীর এপার থেকে ঐ পারে পার হতে পারেনা।তাই আমরা রোগীর অবস্থা বুঝতে পেরে কোন ঝুঁকি না নিয়ে আগে থেকেই রোগীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই।
তিনি আরো বলেন আমাদের এখানে অপারেশন থিয়েটার থাকা সত্বেও গাইনী ডাক্তারের অভাবে আমরা সিজার করাতে পারছি না।এ থেকে উত্তোরনের উপায় হলো মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন গাইনী বিশেষজ্ঞ ও একজন অবস বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের।