| সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৩ | প্রিন্ট
মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলা হয়ে থাকে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। তবে বর্তমান রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা নাকি সব রাষ্ট্রদূতকেই এমন সম্বোধন করা হয় তা তিনি পরিষ্কার করেননি।
রোববার দুপুরে রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপে প্যানেল সদস্য হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এ পর্বে প্যানেল সদস্য হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আসম হান্নান শাহ, দ্য নিউজ টুডে’র সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা ওয়াহিদ।
এইচ টি ইমাম বলেন, “বিদেশীদের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি কথাবার্তা হয়, যাতায়াত হয় বিএনপির অফিসে। মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তো বলা হয়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য।”
এ সময় উপস্থাপকের ‘আপনারাও কি তাই মনে করেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “না আমরা তা মনে করি না। অনেকেই বলেন। আমরা চাই বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে, আরো সামনে এগুবে।”
তিনি আরো বলেন, “বিরোধী দলই বিদেশীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। আমরা দিচ্ছি না। এখন অনেক দেশের প্রতিনিধি ও কূটনৈতিকরা বাংলাদেশে এসে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারছেন না।”
এটা ঠিক হচ্ছে কিনা? উপস্থাপকের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, “হ্যাঁ, তাদের বুঝিয়ে দেয়া দরকার, আমরাও পারি।”
দেশের অভ্যন্তরীণ সংকট দুই প্রধান রাজনৈতিক দল বসেই নিরসন করতে পারে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “কূটনীতিকদের উদ্যোগের দরকার নেই্, আমরা দুই পক্ষ মিলে যদি এগিয়ে যাই তাহলে তাদের দরকার হবে না।”
এ বিষয়ে আসম হান্নান শাহ বলেন, “আমরা অতীতেও দেখেছি বিদেশীরা আমাদের ব্যাপরে নাক গলায়। আমরা রাজনৈতিবিদরা যদি তাদের প্রশ্রয় না দিই তাহলে তারা এই সুযোগ পাবে না।”
এখন বিদেশীদের কারা সুযোগ দিচ্ছে উপস্থাপকের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এটা তো এখনকার কথা বললে হবে না। আমরা অতীতেও দেখেছি ১/১১ সরকার যখন আসে তখন একটি দল বলেছিল তারা নাকি তাদের আন্দোলনের ফসল।”
দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সরকার উদ্যোগ না নিলে সংকটের সমাধান হবে না বলেও মনে করেন তিনি।
সংলাপের আয়োজন করে বিবিসি বাংলা ও বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশন। অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করেন ওয়ালিউর রহমান মিরাজ এবং উপস্থাপনা করেন আকবর হোসেন।
Posted ০১:২১ | সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin