মান্দা( নওগাঁ) সংবাদদাতা : নওগাঁর মান্দায় গণধর্ষণ মামলার ৫ আসামিকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের আজ সোমবার আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আসামিরা হলেন, মান্দা উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের পশ্চিম দুর্গাপুর গ্রামের আবদুর রশিদ (৩৭) ও লালন চৌধুরী (৩৬), নহলা কালুপাড়া গ্রামের নিজাম উদ্দিন (৩০), পারশিমলা গ্রামের আজিজুল হক (২৮) ও প্রান্ত কুমার (১৯)। এর আগে গত শনিবার (১ জুন) মামলার সহযোগী আসামি নওগাঁর রানীনগর উপজেলার ধনপাড়া গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে মামুনকে (৩৮) গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিমের সাথে মামলার সহযোগী আসামি মামুনের এক বছর আগে মুঠোফোনে পরিচয় ঘটে। এ পরিচয়ের সূত্র ধরে মামুনের নওগাঁ শহরের ডিগ্রি কলেজ এলাকার ভাড়া বাসায় তিনি মাঝে মধ্যেই দেখাসাক্ষাৎ করতে আসতেন। এ সুবাদে গত ১ জুন মামুন মুঠোফোনে তাকে নওগাঁ শহরে ডেকে নেয়। এর পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে একটি মোটরসাইকেলযোগে তাকে নিয়ে মান্দা উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের পশ্চিম দুর্গাপুর গ্রামের এক মাঠের ধারে এক ব্রিজের কাছে নিয়ে যায়।
ভিকটিম ও মামলার বাদি বলেন, ‘রাত তখন সাড়ে ১০টা। এসময় মামুন মুঠোফোনে সেখানে এক ব্যক্তিকে ডেকে নেয়। এর পর সেখানে আরও চার ব্যক্তি উপস্থিত হন। পরে আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ও টেনেহিঁচড়ে পাশের একটি পাটখেতে নিয়ে গিয়ে ৬জনে মিলে পালাক্রমে আমাকে ধর্ষণ করে। এসময় আমার আর্ত চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। এরপরে অভিযুক্তরা আমার একটি স্মার্টফোন ও ৭ হাজার টাকা নিয়ে সেখান থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, গণধর্ষণের ঘটনায় ভিকটিম বাদি হয়ে ৬জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে অভিযান চালিয়ে মামলার সব আসামিকে গ্রেফতারসহ জেলহাজতে পাঠানো হয়। এ সময় আসামি নিজাম উদ্দিনের বাড়ি থেকে ভিকটিমের মোবাইলফোন উদ্ধার করে পুলিশ।
Like this:
Like Loading...
Related