বুধবার ১২ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের তৈরি জার্সি থাকবে বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়দের গায়ে

  |   রবিবার, ২৭ মে ২০১৮ | প্রিন্ট

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের তৈরি জার্সি থাকবে বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়দের গায়ে

স্পোর্টস ডেস্ক: আসন্ন ফুটবল বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে চলছে উন্মাদনা। আর মাত্র ১৮ দিন বাকি। দরজায় উকি মারছে ফুটবলের মহাযজ্ঞ রাশিয়া বিশ্বকাপ। শেষ সময়ে মাঠে কি খেলা উপহার দিবেন তা নিয়েই ব্যস্ত কোচরা।

এবার ফিফা বিশ্বকাপের ২১তম আসর বসছে রাশিয়ার ১১টি শহরের ১২টি দৃষ্টিনন্দন স্টেডিয়ামে মাসব্যাপী হবে বিশ্বের ৩২টি ফুটবল দলের যুদ্ধ।

পুতিনের দেশে ১৪ জুন থেকে পুরো বিশ্ব কাপবে ফুটবল-জ্বরে। ৩২টি দেশের সমাবেশ ঘটতে যাচ্ছে রাশিয়ায়।

মাঠের লড়াইয়ে বাংলাদেশ নেই। কিন্তু এ দেশের তৈরি জার্সি থাকবে বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়দের গায়ে। শুধু জার্সিই নয়- গেঞ্জি, হাফপ্যান্টসহ নানা ধরনের পণ্য তৈরি করে সরবরাহ করছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক সংস্থা ফিফার কার্যাদেশের ভিত্তিতে বিভিন্ন দেশের খ্যাতিমান ব্র্যান্ড এসব পণ্য আমদানি করছে। চলতি বছরে বিশ্বকাপ ফুটবলের আসরে ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ প্রায় ১০০ কোটি ডলার বা ৮ হাজার ৬০০ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি করেছে।

এর আগে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে রপ্তানি করেছিল প্রায় ৭০ কোটি ডলারের পণ্য। সে তুলনায় এবার ৩০ কোটি ডলারের পণ্য বেশি পাঠাতে পেরেছে।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) জানিয়েছে, বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে এ বছর বাংলাদেশ থেকে পোশাক রপ্তানি আগের বারের তুলনায় ১১ দশমিক ৪৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু বিশ্বকাপ ফুটবলের আসরেই নয়, অন্য সময়ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানি করে। এবার সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়েছে খেলোয়াড়দের জার্সি, গেঞ্জি, হাফপ্যান্ট, শীতের পোশাক, ট্রউজার, অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর জাতীয় পাতাকা ইত্যাদি।

এদিকে রপ্তানিকারকরা জানিয়েছেন, সারা বছরই খেলার সামগ্রী তৈরি হয় দেশের শতাধিক নিট পোশাক কারখানায়। বহুজাতিক খ্যাতিমান ব্র্যান্ডগুলো এসব আমদানি করে বাজারে ছাড়ে। এবার ফিফার কার্যাদেশের ভিত্তিতে নেওয়া হচ্ছে। বিশ্বকাপ আয়োজনে রিবক, নাইকি, অ্যাডিডাস, পুমা, কেরিফোর, সিঅ্যান্ডএ, এইচঅ্যান্ডএমসহ বিভিন্ন খ্যাতিমানসম্পন্ন ব্র্যান্ড কোম্পানি এসব পণ্য সরবরাহ করছে। এদের অনেকেই বাংলাদেশ থেকে পণ্য নিয়ে বিদেশের বাজারে বিক্রি করে।

ফিফার কার্যাদেশের বাইরেও ফুটবলপ্রেমীদের চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন দেশের পতাকা বা জার্সির রঙে
বিভিন্ন পোশাক তৈরি করে রপ্তানি করছে দেশীয় কোম্পানিগুলো। এগুলো মূলত ফুটবলপ্রেমীদের
কাছে বিক্রি করা হয়। বিশ্বকাপকে ঘিরে এসবের চাহিদাও থাকে তুঙ্গে।

এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইএবি) সভাপতি ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী জানান, বিশ্বকাপ ফুটবলে না খেলতে পারলেও এক অর্থে বাংলাদেশ ঠিকই অংশ নিচ্ছে। গ্যালারির দর্শকদের জার্সি, মাফলার, পতাকাসহ অন্যান্য সামগ্রীর অনেক কিছুই বাংলাদেশের পোশাক কারখানায় তৈরি। এ ছাড়া খেলোয়াড়দের জার্সিসহ নানা পোশাকও বাংলাদেশ থেকে যাচ্ছে। ইউরোপের ব্র্যান্ডগুলো বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি খেলার সামগ্রী তৈরি করিয়ে নেয়। এসব পণ্যের গায়ে লেখা থাকেব- ‘মেড ইন বাংলাদেশ।’

বিকেএমইএর সহ-সভাপতি মনসুর আহমেদ জানান, বিশ্ববিখ্যাত ব্র্যান্ড কোম্পানি অ্যাডিডাস, পুমার মতো প্রতিষ্ঠানের ক্রীড়াসংশ্লিষ্ট পোশাক বাংলাদেশ বানিয়ে থাকে। এ বছর বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ৩২টি দেশের খেলোয়াড় ও ভক্তদের জন্য জার্সি বানানো হয়েছে এই দেশ থেকেই। মূলত স্বল্পমূল্যের জন্যই বাংলাদেশ এ খাতে উন্নতি করেছে।

তিনি জানান, তিন ধরনের জার্সি বানাচ্ছে পোশাক কারখানাগুলো। এর মধ্যে রয়েছে, প্লেয়ার জার্সি, ফ্যান জার্সি ও কান্ট্রি জার্সি। এগুলোর বেশিরভাগই ব্রাজিল, জার্মানি, ফ্রান্স, স্পেন, বেলজিয়াম, ইতালি, আর্জেন্টিনা ও পর্তুগাল ভক্তদের জন্য তৈরি।

advertisement

Posted ১৪:২১ | রবিবার, ২৭ মে ২০১৮

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
This newspaper (Swadhindesh) run by Kabir Immigration Ltd
যোগাযোগ

Bangladesh Address : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217, Europe Office: 552A Coventry Road ( Rear Side Office), Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

ফোন : 01798-669945, 07960656124

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com