নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ০৭ জুন ২০২৪ | প্রিন্ট
প্রথমবারের মত আইসিসির গুরুত্বপূর্ণ কোনো ইভেন্ট আয়োজিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে। বিশ্ব মোড়ল দেশটিও প্রথমবারের মতই খেলছে বিশ্বকাপে। দেশটিতে ক্রিকেট ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যেই এবারের টুর্নামেন্ট আয়োজিত হচ্ছে সেখানে। সে জন্য এবারের আসর সুচারুরূপে আয়োজন করতে আইসিসি এবং যুক্তরাষ্ট্র চেষ্টাও করেছে অনেক। তবুও শুরু হয়েছে বিতর্ক। আর সেটি নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়াম নিয়ে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য অস্থায়ীভাবে নির্মাণ করা হয়েছে নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়াম। টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগে থেকেই এই ভেন্যু নিয়ে ছিল সবার আলাদা আগ্রহ। এই মাঠে যে হবে ভারত-পাকিস্তানের মহারণ। তবে আসর শুরু না হতেই ওঠেছে বিতর্কের ঝড়। এই মাঠে হওয়া দুইটি ম্যাচেই বেকায়দায় পড়তে হয়েছে ব্যাটারদের।
নাসাউ কাউন্টির পিচ নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠেছে ভারতের বিপক্ষে আয়ারল্যান্ডের ম্যাচ দিয়ে। এ দিন আইরিশরা গুটিয়ে যায় ৯৬ রানেই। প্রথম ইনিংস থেকেই উইকেটে ছিল অপরিমিত বাউন্স। এমন উইকেটে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
এর আগে শ্রীলঙ্কাও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অল আউট হয়ে যায় ৭৭ রানেই। দুই ম্যাচেই অপরিমিত বাউন্সের পাশাপাশি অস্বাভাবিক আচরণ করেছে বল। ফলে বোলারদের জন্য তা সুবিধা হয়ে এলেও ভুগতে হয়েছে ব্যাটারদের।
এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ খেলবে আগামী ৮ জুন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই ম্যাচের পর টুর্নামেন্টে টাইগারদের পরের ম্যাচ দক্ষিণ আফ্রিকার হবে। আর প্রোটিয়াদের সাথে লাল-সবুজের দল মুখোমুখি হবে আগামী ১০ জুন, ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামেই।
এদিকে ক্রমাগত সমালোচনার মুখে নাসাউ কাউন্টির পিচ নিয়ে মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছে আইসিসিও। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, ‘আইসিসি বুঝতে পেরেছে আমরা সবাই যেরকম আশা করেছিলাম, নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেটগুলো সেরকম আচরণ করেনি।’
তবে পরের ম্যাচগুলোতে যেন বিশ্বমানের পিচ দেয়া যায় সেই চেষ্টাও করা হচ্ছে বলেই জানিয়েছে সংস্থাটি। আইসিসি বলছে, ‘গতকালের ম্যাচের পর থেকে বিশ্বমানের মাঠকর্মীরা কঠিন পরিশ্রম করে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করছে, (এ ভেন্যুতে) পরের ম্যাচগুলোর জন্য যাতে সম্ভাব্য সেরা উইকেট দেওয়া যায়।
Posted ০৯:২৬ | শুক্রবার, ০৭ জুন ২০২৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain