
নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০২৩ | প্রিন্ট
চট্টগ্রামে বিএনপির পদযাত্রা থেকে ফেরার সময় চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চুর প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুরের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। এরমধ্যে ভিডিও ফুটেজ দেখে ঘটনায় জড়িত ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার (১৯ জুলাই) দিনগত রাতে নগরীর খুলশী থানায় মামলা দুটি দায়ের হয়। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ কর্মী আরিফুল ইসলামের দায়ের করা মামলায় অজ্ঞাত হিসেবে ২৫০ থেকে ৩০০ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। অন্যদিকে, খুলশী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহেদ খানের দায়ের করা মামলায় বিএনপির ৫৩ জন নেতাকর্মীর নামোল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ২৫০ জনকে আসামি করা হয়।
অন্যদিকে, এ ঘটনায় ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে, বিএনপির অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও অফিসের সামনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আওয়ামী কর্মী আরিফুল ইসলামের দায়ের করা মামলায় মহিউদ্দিন বাচ্চুর নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, কর্মী-সমর্থকদের আহত করার অভিযোগ করা হয়। অন্যদিকে, পুলিশের দায়ের করা মামলায় সরকারিকাজে বাধা, সরকারি গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার অভিযোগ করা হয়।
দুই মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ওয়াসা মোড়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। একটির বাদী পুলিশ। অন্যদিকে আরিফুল ইসলাম নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মী বাদী হয়েছেন। মামলা দুটিতে হামলা, ভাঙচুর, সরকারিকাজে বাধার অভিযোগ করা হয়। এরমধ্যে ভিডিও ফুটেজ দেখে ঘটনায় জড়িত ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জড়িত অন্যদেরও গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলেও জানান ওসি।
অন্যদিকে, মহিউদ্দিন বাচ্চুর নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলার পর ওইদিন আওয়ামী লীগের ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জাহিদুল কবীর বলেন, বুধবার বিএনপির অফিসে হামলার ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। কেউ অভিযোগও নিয়ে আসেনি।
Posted ১৭:২০ | বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain