এম এম হারুন আল রশীদ হীরা; নওগাঁ: নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৬ষ্ঠ ধাপে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে বিভিন্ন প্রতিকে অংশ নেয়া ১৯ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, নিয়ামতপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে বিভিন্ন দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন মোট ৩৯ জন প্রার্থী।
নিয়ামতপুর উপজেলার হাজিনগর ইউনিয়নে নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ১৮ হাজার ১৭। যেখানে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আবদুর রাজ্জাক বিজয়ী হন। ৪ জন প্রার্থীর মধ্যে দুজনের জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। তারা হলেন, ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী আবুল বাশার। তিনি পেয়েছেন ১হাজার ৯২ ভোট এবং ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মিনহাজুল হক পেয়েছেন ৮৬৩ ভোট।
চন্দননগর ইউনিয়নে প্রদত্ত্ব ভোটের সংখ্যা ১৭ হাজার ৭শ ৪৩ টি। এখানে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বদিউজ্জামান ঘোড়া প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। ৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তারা হলেন, জাকারিয়া (মোটরসাইকেল) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন (১৫৫) ভোট, দেলোয়ার হোসেন (আনারস) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৭০ ভোট এবং বদিউজ্জামান (চশমা) প্রতীকে পেয়েছেন ১৫৮২ ভোট।
ভাবিচা ইউনিয়নে প্রদত্ত্ব ভোটের সংখ্যা ২১ হাজার ১শ ২১ টি। এখানে নৌকার প্রার্থী ওবাইদুল হক বিজয়ী হন। ৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তারা হলেন, আবদুল বারী (চশমা) প্রতীকে পেয়েছেন ৩৮৬ ভোট, জমশেদ আলী (অটোরিকশা) প্রতীকে পেয়েছেন ৮৯ ভোট, বাংলাদেশ ইসলামি আন্দোলনের প্রার্থী জসিম উদ্দিন মৃধা (হাতপাখা) প্রতীকে পেয়েছেন ৪৮১ ভোট, জহুরুল ইসলাম (ঘোড়া) প্রতীকে পেয়েছেন ২১৪ ভোট এবং দেলোয়ার হোসেন (মোটরসাইকেল) প্রতীকে পেয়েছেন ১০০ ভোট।
নিয়ামতপুর সদর ইউনিয়নে প্রদত্ত্ব ভোটের সংখ্যা ১৪ হাজার ৯শ ৫৪ টি। এখানে নৌকার প্রার্থী বজলুর রহমান নঈম বিজয়ী হয়েছেন। ৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। তারা হলেন, আবদুর রহমান (চশমা) প্রতীকে পেয়েছেন ৬৪৬ ভোট, আমিনুর রহমান (মোটরসাইকেল) প্রতীকে পেয়েছেন ২৫৭ ভোট, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী একরামুল হক (হাতপাখা) প্রতীকে পেয়েছেন ৩১৭ ভোট এবং হুমায়ন কবির (রজনীগন্ধা) প্রতীকে পেয়েছেন ৮৭ ভোট।
রসুলপুর ইউনিয়নে প্রদত্ত্ব ভোটের সংখ্যা ২২ হাজার ৬শ ৮২ ভোট। এখানে নৌকার প্রার্থী মোত্তালিব হোসেন বিজয়ী হন। ৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ২ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। তারা হলেন, আনোয়ারুল ইসলাম(আনারস) প্রতীকে পেয়েছেন ১৪৬৩ ভোট এবং ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী মাহমুদ আলম,(হাতপাখা) প্রতীকে পেয়েছেন ১৯৭ ভোট।
উপজেলার পাঁড়ইল ইউনিয়নে ৪ জন প্রার্থীর মধ্যে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দ মুজিব বিজয়ী হয়েছেন। এ ইউপিতে ৪ জন প্রার্থীর মধ্যে কারো জামানতই বাজেয়াপ্ত হয়নি।
শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নে মোট প্রদত্ত্ব ভোটের সংখ্যা ১৮ হাজার ৯শ ২৪টি। এখানে নৌকার প্রার্থী রফিকুল ইসলাম বিজয় হন। ৩ জন প্রার্থীর ১ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। তিনি হলেন, আল মামুন হক (চশমা) প্রতীকে পেয়েছেন ১৫৪১ ভোট।
বাহাদুরপুর ইউনিয়নে মোট প্রদত্ত্ব ভোটের সংখ্যা ২০ হাজার ৫শ ৫২ টি। এখানে নৌকার প্রার্থী মামুনুর রশিদ বিজয়ী হন। ৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ২ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। তারা হলেন, বাংলাদেশ ইসলামি আন্দোলন প্রার্থী আবদুল করিম মন্ডল(হাতপাখা) প্রতীকে পেয়েছেন ৬৭৭ ভোট এবং মনজুর রাশেল (মোটরসাইকেল) প্রতীকে পেয়েছেন ১১০২ ভোট।
নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিয়াউল হক খান বলেন, নির্বাচনের নিয়ম অনুসারে মোট প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের একভাগ ভোট না পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়। জামানত বাজেয়াপ্তদের তালিকায় উপজেলার ভাবিচা ও সদর ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি প্রার্থীর নাম রয়েছে বলেও তিনি আরো জানান।