এনটিআরসিএ থেকে পাঠানো পত্র মাধ্যমে জানা যায়, ওই প্রতিষ্ঠানের সংরক্ষিত ফলাফল দৃষ্টে ২০০৬ সালের ২য় শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ২২১১০৬৬৫ রোল নম্বরধারী প্রকৃত সনদধারীর নাম: ইখতিয়ার উদ্দিন, পিতা: আশরাফ আলী, প্রাপ্ত নম্বর: আবশ্যিক- ৪৯ ও ঐচ্ছিক-৫৪। সংগত কারণে প্রতীয়মান হয় সনদটি সঠিক নয়। সনদটি জাল ও ভুয়া।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার তেজনন্দী গ্রামের জয়নুল হকের ছেলে শরিফুল ইসলাম সহকারী শিক্ষক (ইসলাম শিক্ষা) ইনডেক্স নং ১০৬৮২২৮। তিনি গত ২০১১ সালের ১৭ জুলাই ওই প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেন এবং ২০১২ সালের ১ নভেম্বর এমপিওভুক্ত হন। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত অবৈধভাবে এমপিও ভোগ করে আসছেন। বর্তমানে শিক্ষামন্ত্রালয় মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অভ্যন্তরীণ নিরিক্ষা শাখার ১৮ মে তারিখের ৩১-১০২ স্মারক নম্বরের চিঠি ও গত ২৩ মে আত্রাই উপজেলা শিক্ষা অফিসের ১৩৩/১(২) স্মারক নম্বরের নির্দেশ মোতাবেক এবং গত ১ জুন ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তে তার বিরুদ্ধে থানায় ৪০৬,৪২০,৪৬৮,৪৭১ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক অমরেন্দ্র নাথ সাহা বলেন, আমি চিঠি হাতে পাওয়ার পর বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এর পূর্বে এনটিআরসিএ থেকে পাঠানো পত্রটি তিনি হাতে পাননি বলেও দাবী করেন।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেকুর রহমান সরকার বলেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সে মোতাবেক গত শনিবার মামলা রুজু করা হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।