
নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ০৫ জুলাই ২০২৩ | প্রিন্ট
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, আমরা ঢাকাবাসীকে জলমগ্নতা থেকে মুক্ত রাখতে চাই। ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন।
আজ রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল সংলগ্ন হাতিরঝিল পানি নিষ্কাশন যন্ত্র (স্ট্রং সুয়ারেজ ডাইভার্সন স্ট্যাকচার- এসএসডিএস) পরির্দশন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র তাপস বলেন, ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানে যেতে হবে। তা না হলে আমরা সাময়িক সময়ের জন্য এলাকাবাসীকে সুফল দিতে পারলেও দীর্ঘ মেয়াদি সুফল দিতে পারবো না।
তাপস আরো বলেন, আমরা ঢাকাবাসীকে জলমগ্নতা থেকে মুক্ত রাখতে চাই। এজন্য ঢাকা ওয়াসা থেকে খাল এবং নর্দমা সিটি কর্পোরেশনকে হস্তান্তর করার পর ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। আমরা যেমন নিয়মিত বাৎসরিক ভিত্তিতে সেগুলো পরিষ্কার করছি, তেমনি নিজস্ব অর্থায়নে ১৩৬টি স্থানে অবকাঠামো ও নর্দমা নির্মাণ করেছি। জলাধারের আয়তন বৃদ্ধি করেছি। তারপরও আমরা লক্ষ্য করেছি, গত ঈদুল আজহার সময় যে বিপুল পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, তাতে ঢাকার কিছু কিছু জায়গায় জলাবদ্ধতা ও জলমগ্নতা সৃষ্টি হয়েছে। যা দীর্ঘক্ষণ ছিল। এই সমস্যাকে সমাধান করার জন্য আমরা কয়েকটি জায়গা পরিদর্শন করবো। তার মধ্যে প্রথম আমরা আজকে সোনারগাঁও হোটেলের পেছনে যে জলাধার রয়েছে সেটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রাজউক এবং ওয়াসার কর্তৃক নির্মিত ‘স্ট্রং সুয়ারেজ ডাইভার্সন স্ট্যাকচার’ (এসএসডিএস) পরিদর্শনে এসেছি।
তাপস বলেন, এই এসএসডিএসের কারণে পান্থপথ বক্স কালভার্ট দিয়ে পানি নিষ্কাশনের বা প্রবাহের যে গতিধারা, সেটি রোধ হয়ে গতি কমে যাচ্ছে বলে মনে হয়েছে। এজন্য আমরা সরেজমিনে এটি পরিদর্শনে এসেছি। কারণ পান্থপথ বক্স কালভার্ট দিয়ে একটি বৃহৎ অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তাপস আরো বলেন, এখানে তিনটি সুইস গেটের মতো রয়েছে। এর একটিও যদি বন্ধ থাকে, বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে, তাহলে পানি প্রবাহের গতি হারায়। যার ফলে কাঁঠালবাগান, গ্রিন রোড এবং ধানমন্ডি ২৭ পর্যন্ত জলাবদ্ধতা বিস্তৃত হয়। এজন্য আমাদের সুদূরপ্রসারী এবং দীর্ঘ মেয়াদি ব্যবস্থাপনায় আসতে হবে।
মেয়র তাপস বলেন, আমরা দায়িত্ব নিয়েছি মাত্র দুই বছর হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে স্বল্প মেয়াদি কার্যক্রম নিয়েছি। এখন মধ্যম মেয়াদি এবং দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনায় যাবো। এর জন্য এসব অবকাঠাগুলোর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং পরিকল্পনার প্রয়োজন। যাতে এর কোনো ক্ষতি না হয় এবং সুষ্ঠুভাবে কার্যকর হয় সেটি আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।
এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিতি ছিলেন।
Posted ১১:০৯ | বুধবার, ০৫ জুলাই ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain