| বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০১৪ | প্রিন্ট
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, গোলাপি রে, গোলাপি, ট্রেন তো মিস করলি। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অংশ না নেয়ায় সমালোচনা করে বৃহস্পতিবার বিকেলে যশোরের নওয়াপাড়ার শংকরপাশা হাই স্কুল মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন। এর আগে মালোপাড়া পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, গোপালগঞ্জের ওপর তার (খালেদা জিয়ার) এতো রাগ কেন জানি না! তিনি গোপালগঞ্জবাসীকে গোপালী বলে গালি দিয়েছেন। তিনি নির্বাচনে অংশ নেনননি। সহিংসতা করে নির্বাচনে জনগণকে ভোট দেয়া থেকে বিরত রাখতে পারেননি। এখন যদি বলি- গোলাপি রে, গোলাপি, ট্রেন তো মিস করলি। নির্বাচনের ট্রেন চলে গেছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিএনপি নেত্রীর আন্দোলনে জনগণ সাড়া দেয়নি। উনার আন্দোলনে কেউ আসে না। উনি ঢাকাবাসীকে ডাক দিয়েছিলেন; কেউ আসেনি। খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিএনপি নেত্রী একটি কাজই করতে পারেন তাহলো- গাড়িতে আগুন দেয়া। গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে উনি আন্দোলন করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনকে ‘জামায়াতের আমির’ আখ্যা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জামায়াত এর আগে পাকিস্তানেও একবার নিষিদ্ধ হয়েছিল। এদের প্রভু যে কোথায় সেটাই এখন প্রশ্ন! বিএনপির কাজ যুদ্ধাপরাধীদের পৃষ্ঠপোষকতা করা। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া এখন জামায়াতের আমির হয়ে গেছেন। বিএনপি নেত্রী ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধীদের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছেন। খালেদা জিয়া ৫ বার জন্মদিন বদল করেছেন দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উনি বার বার জন্মদিন বদল করেন। উনার জন্ম ৫ বার হয়েছে। উনি তার স্বামী জিয়ার জন্মদিনও বদলে ফেলেছেন। নিজের জন্মদিন ও স্বামীর জন্মদিনও বদল করতে করতে এমন হয়েছে- উনি এখন নির্বাচনের তারিখও বদলাতে চান। দশম সংসদ নির্বাচন হয়েছে ৫ জানুয়ারি আর উনি বলছেন ৫ মে হয়েছে। উনি ভুলেই গেছেন ২০১৪ সালের ৫ মে আসতে এখনো অনেক দেরি। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনি মুখে বলেন যে, কেউ ভোট দিতে যায়নি। তাহলে ভোট দিতে যাওয়ার অপরাধে এই জুলুম-নির্যাতন কেন? প্রধানমন্ত্রী হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশে বলেন, আপনারা এখানকার মাটির সন্তান।
আপনারা এই এলাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাববেন না। আপনারা মনে জোর নিয়ে, নিজেদের অধিকার নিয়ে বাঁচবেন। শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য যত কঠোর হওয়া দরকার সরকার হবে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী দুপুরে হেলিকপ্টারযোগে যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া কলেজ মাঠে পৌঁছান। সেখান থেকে তিনি নির্বাচনোত্তর সাম্প্রদায়িক তাণ্ডবের শিকার যশোরের অভয়নগর উপজেলার চাপাতলা মালোপাড়া পরিদর্শন করেন। প্রধানমন্ত্রী মালোপাড়ার ক্ষতিগ্রস্থ ৫১টি পরিবারকে সর্বনিম্ন ২০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা দেন।
Posted ১৬:০০ | বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin