শাহরিয়ার মিল্টন | শনিবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট
শেরপুর : বুনোহাতির উপদ্রব বেড়েছে শেরপুর গারো পাহাড় এলাকায় । বুনোহাতির দল এখন কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে দিনের বেলায় গহিন পাহাড়ে অবস্থান করে আর সন্ধ্যা হলেই খাবারের সন্ধ্যানে নেমে আসছে লোকালয়ে। এতে চলমান বোরো আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষকরা। এছাড়া বুনোহাতির দল রাতের বেলায় মাঝে মধ্যেই সীমান্ত সড়কে অবস্থান নেওয়ায় ওই সড়ক এড়িয়ে চলাচল করতে পরামর্শ দিয়েছেন বন বিভাগ।
জানা গেছে, গত দুই সপ্তাহ যাবত ১৭/১৮টি বুনোহাতির একটি উপদল নালিতাবাড়ী উপজেলার মধুটিলা ইকোপার্ক এলাকায় অবস্থান করছে। এরা সন্ধ্যা নেমে আসলেই বুরুঙ্গা-কালাপানি এলাকার সীমান্ত সড়কে অবস্থান নেয়। এতে চলাচলে বিঘœ ঘটে ওই সড়কে যাতায়াতকারীদের। তাই বন বিভাগ সন্ধ্যার পর ওই সড়ক পথ এড়িয়ে চলাচল করতে বলেছে যাতায়াতকারীদের। বর্তমানে বুনোহাতির উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় এলাকার বোরো চাষীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
গত কয়েকদিন যাবত পাহাড়ের ঢালে বোরো ধান রোপণ করতে শুরু করেছেন এলাকার কৃষকরা। সদ্য রোপিত বোরো ধানখেত পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করে দেয় বন্যহাতির দল। দীর্ঘদিন যাবত বুনোহাতির দল পাহাড়ি এলাকায় তা-ব চালিয়ে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে আসলেও অত্যাচার বন্ধে সরকারিভাবে আজও কোনো প্রকার স্থায়ী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি বলে এলাকাবাসী জানান।
বন বিভাগ সূত্র জানায়, শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে মধুটিলা ইকোপার্ক এলাকার মাজারের টিলা পাহাড়ের গভীর জঙ্গলে অবস্থান করছে বুনোহাতির একটি দল। ১৭/১৮টির এই উপদলটিতে ৪/৫টি হাতি শাবক রয়েছে। বন্যহাতি মাঝে মধ্যেই মধুটিলা ইকোপার্কের ভিতরে প্রবেশ করে বন বিভাগের নার্সারি ও দীর্ঘ মেয়াদি মিশ্র বাগানের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে চলেছে। দিনে গহিন জঙ্গলে থাকলেও রাতে লোকালয়ে চলে আসার ভয়ে এলাকার লোকজন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। বুরুঙ্গা কালাপানি গ্রামের কৃষক মোবারক হোসেন বলেন, চলমান বোরো আবাদে ধান রোপণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। খেত লাগানোর পর কবে যেন হাতির দল নষ্ট করে দেয়। এর আগেও বন্যহাতি আমার ব্যাপক ক্ষতি করেছে।
এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধুটিলা ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রায় ১৫ দিন যাবত ১৭/১৮টি বুনোহাতির দল মধুটিলা ইকোপার্ক এলাকায় অবস্থান করছে। এরা ইতোমধ্যে তা-ব চালিয়ে বাতকুচি বন বিটের দীর্ঘ মেয়াদি মিশ্র বাগানের বেশ কিছু গাছ ভেঙ্গে নষ্ট করেছে। সন্ধ্যা হলেই হাতিগুলো পার্কের পাশের সীমান্ত সড়কে চলে আসছে। এতে ওই সড়কে যাতায়াতকারীদের জীবনের ঝুঁকি বাড়ছে। তাই সন্ধ্যার পর সীমান্ত সড়ক এড়িয়ে চলাচল করতে বন বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
Posted ০৭:৩০ | শনিবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin