| মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৩ | প্রিন্ট
মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদ- প্রাপ্ত জামায়াত নেতা কাদের মোল্লাকে ফাঁসির দড়িতে ঝোলানোর জন্য ইতোমধ্যেই কয়েকজন জল্লাদকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ফাঁসিকাষ্ঠে ঝোলানোর জন্য জল্লাদের তালিকাও চূড়ান্ত করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। এ তালিকায় ছয় জল্লাদের নাম রয়েছে বলে জানা যায়।
কারা সূত্র জানায়, প্রধান জল্লাদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ৬০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি শাহজাহান। এ জল্লাদ ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পাঁচ আসামিকে ফাঁসিতে ঝোলানোর দায়িত্ব পালন করেন। তার গ্রামের বাড়ি নরসিংদী।
ফাঁসিতে কাদের মোল্লাকে ঝোলানোর সময় আরও পাঁচ সহকারি জল্লাদকে সঙ্গে রাখা হবে। জল্লাদের দায়িত্বে থাকা কালু মিয়াও জল্লাদের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন। হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি কালু ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার কয়েদিদের ফাঁসির রায় কার্যকরের সময়ও তিনি সহ জল্লাদের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি এখন পর্যন্ত ১৩টি ফাঁসির রায় কার্যকর করেছেন। এছাড়াও চার জল্লাদ সাথে থাকবেন।
তাদের সঙ্গে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক ও একজন ম্যাজিস্ট্রেটও উপস্থিত থাকবেন। ফাঁসির আগে কাদের মোল্লোকে ইসলাম ধর্মের রীতি অনুযায়ী ‘তওবা’ পড়ানো হবে।
প্রস্তুত ফাঁসির মঞ্চ :
কারাগারের দুটি ফাঁসির মঞ্চের একটিকে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করা হয়েছে। ফাঁসির দড়িও ঠিক করে রেখেছে কারা কর্তৃপক্ষ। সোমবার রাতে ফাঁসির মঞ্চে জ্বালানো হয়েছে বিশেষ আলো। এরই মধ্যে কারাগারের অভ্যন্তরে ফাঁসির মহড়াও দেয়া শেষ। যে দড়িতে কাদের মোল্লাক ঝোলানো হবে সে দড়িতে কাদের মোল্লার সমান ওজনের ইটসহ বস্তা বেঁধে এ মহড়া দেয়া হয়েছে।
যেভাবে কার্যকর হবে রায়:
কারাগার সূত্রে জানা যায়, নির্দিষ্ট সময়ে কাদের মোল্লাকে ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হবে। কারাগারের তত্ত্বাবধায়কের হাতে এসময় একটা লাল রুমাল থাকবে। তার হাত থেকে রুমালটি মাটিতে পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফাঁসি কার্যকর হবে। এসময় জল্লাদ মঞ্চে লোহার তৈরি বিশেষ হাতল (লিভার) টেনে ধরবেন। ফলে কাদের মোল্লার পায়ের তলা থেকে মঞ্চের কাঠ সরে যাবে। ফাঁসিতে ঝোলানোর পর আধাঘণ্টা পর্যন্ত কাদের মোল্লার লাশ দড়িতে ঝুলিয়ে রাখা হবে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য। এর ডাক্তার পরীক্ষা করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করবেন। –
Posted ১৭:৫৯ | মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin