নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ০৪ জুন ২০২৪ | প্রিন্ট
গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সরকারকে পরাজিত করতে না পারলে হামলা মামলার জীবন থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
মঙ্গলবার (৪ জুন) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠিতা জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়া শিশু কিশোর মেলা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর আয়োজন করে।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, এই সরকারের বিরুদ্ধে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে রাস্তায় নেমে আসতে হবে। সাফল্য-ব্যর্থতা যাই থাকুক না কেন যতক্ষণ পর্যন্ত গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সরকারকে পরাজিত করতে না পারা যায় ততদিন পর্যন্ত এই কষ্টকর জীবন, কারাগারের জীবন, হামলা মামলার জীবন এটা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না। সে জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে এই সরকারকে গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে পরাজিত করতে হবে।
দুদু বলেন, বাংলাদেশ সেই দিনই স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে যেদিন এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে গণতন্ত্র স্বাধীনতা এবং মানুষের অধিকার আমরা অর্জন করেছিলাম সেটা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারবো। এই ৫২-৫৩ বছরের পরে আমরা দুর্নীতিবাজদেরকে সে দেশে থাকুক আর বিদেশে পালিয়ে যাক তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে যথাযথভাবে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারলে মনে করবো মানুষের জন্য কিছু করতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন, এটা কি ভাবা যায়? ১০-১২ টি ব্যাংক একেবারে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে, লুটপাট করে ফেলা হয়েছে, এটা ভাবা যায় না। আপনি ভারতে যান, পাকিস্তানে যান শ্রীলঙ্কায় যান সে সব দেশেও এত লুটপাট করা হয় না। আমি অন্য কোনো দেশের দৃষ্টান্ত দিচ্ছি না এই দেশকে একটা লুটপাটের স্বর্গরাজ্যের দেশে রূপান্তরিত করেছে বর্তমান সরকার।
দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের স্মৃতিচারণ করে তিনি আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের আদরের দুলাল ছিলেন। এত ভালোবাসা, এত সম্মান এত শ্রদ্ধা জিয়াউর রহমানের আগে অন্য কোনো নেতা পেয়েছে কি না আমার জানা নেই। আমি এই কথা বলছি এই কারণে তার মৃত্যুর পর যে জানাজা ঢাকা শহরে আমরা দেখেছি শুধু দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় নয় সারাবিশ্বে এই ধরনের জানাজা আমরা খুবই কম দেখেছি।
দুদু বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার প্রশ্নে গণতন্ত্রের প্রশ্নে বহুদলীয় রাজনীতির প্রশ্নে কৃষকদেরকে প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে তাদের পাশে দাঁড়ানোর প্রশ্নে মজলুম মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রশ্নে তিনি মহানায়ক ছিলেন। জিয়াউর রহমান দেশকে সারাবিশ্বের কাছে একটি সম্মান জনক জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলেন।
সংগঠনটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি দ্বীন মোহাম্মাদ দুলুর সভাপতিত্বে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন জিয়া শিশু কিশোর মেলার সভাপতি জাহাঙ্গীর সিকদার, কৃষকদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা এসকে সাদী, সংগঠনের সদস্য খালেদ এনাম মুন্না, আরিফুর রহমান প্রমুখ।
Posted ০৮:৫০ | মঙ্গলবার, ০৪ জুন ২০২৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain