| শনিবার, ০৪ জানুয়ারি ২০১৪ | প্রিন্ট
মো. রাশেদুল কবির আজাদ
এক নজরে বিশ্বনবী (সা.) এর জীবনের সংক্ষিপ্ত ঘটনাক্রম
প্রিয় পাঠক, আজ আপনাদেরকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, সর্বশ্রেষ্ঠ নবী, সর্বশেষ নবী এবং নবীদের নবী সারা পৃথিবীর সৃষ্টিকুলের জন্য সর্ব উত্তম আদর্শ হিসেবে যে মানুষটিকে মহান আল্লাহপাক সৃষ্টি করে আমাদের কাছে প্রেরণ করেন তিনি হচ্ছেন হজরত মুহাম্মদ মোস্তফা ছাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম (যাঁকে সৃষ্টি না করলে আল্লাহপাক এ পৃথিবীর কোনো কিছুই সৃষ্টি করতেন না) সেই বিশ্বনবী (সা.) এর জীবনের সংক্ষিপ্ত ঘটনাক্রম (যৎসামান্য) আপনাদের খেদমতে তুলে ধরার চেষ্টা করবো ইনশা আল্লাহ যদি মহান আল্লাহপাক আমাকে লেখার তওফিক দান করেন।
বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানবের জীবনের সংক্ষিপ্ত ঘটনাক্রম
জন্ম- ৫৭১ খ্রীষ্টাব্দে ২২ এপ্রিল, বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী রবিউল আউয়ালের ৯ তারিখ সোমবার।
জন্মের পর- জন্মের পর থেকেই এতিম অর্থাৎ পিতাহারা।
১-৫ বছর বয়সে- ধাত্রীমা হালিমার ঘরে অবস্থান।
৬ বছর বয়সে- মা হারা শিশু বালক।
৬-৭ বছর বয়সে- দাদা আব্দুল মোত্তালিবের আশ্রয়ে ছিলেন।
৮ বছর বয়সে- চাচা আবু তালিবের আশ্রয়ে ছিলেন।
১০ বছর বয়সে- মহান আল্লাহপাকের হুকুমে ২ বার বক্ষ বিদারন করা হয়। (বর্তমান ভাষায় ওপেন হার্ট সার্জারি)
১২ বছর বয়সে- ৫৮২ খ্রীষ্টাব্দে সিরিয়ায় বাণিজ্যে গমন, খ্রীষ্টান পন্ডিত ও পাদ্রী বুহাইরা কর্তৃক প্রতিশ্রুত শেষ নবী হিসেবে চিহ্নিত।
১৫ বছর বয়সে- ফেজার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
২৫ বছর বয়সে- বিবি খাজিজার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
৪০ বছর বয়সে- প্রসিদ্ধমতে ৬১০ খ্রীষ্টাব্দে আগস্টের কোন এক সোমবার নবুয়াত লাভ করেন।
৪৩ বছর বয়সে- গোপনে ইসলাম প্রচার, ৩০ জনের ইসলাম গ্রহণ। ৬১৩ খ্রীষ্টাব্দে প্রকাশ্যে তৌহিদের প্রচার।
নবুয়াতের ৫ম বর্ষ- ৬১৫ খ্রীষ্টাব্দে ১৬ জনের আবিসিনিয়ায় হিযরত।
সমাজচ্যুত- (৬১৬-৬১৯ খ্রীষ্টাব্দে) ৩ বছরের জন্য সমাজচ্যুত।
৩টি বছর- ৬১৯ খ্রীষ্টাব্দে তায়েফ গম করে নির্যাতিত, মা খাদিজা ও চাচা আবু তালিবের মৃত্যু, মিরাজ গমন করে নামাজ আনয়ন, গোত্রের ৬ জনের ইসলাম গ্রহণ, ৬২১ খ্রীষ্টাব্দে আরো ১২৫ জন ইসলাম গ্রহণ।
১৩শ বর্ষ- হিযরত (৬২২ খ্রীঃ ৩০ সেপ্টেম্বর) ইয়াসরীবের পরিবর্তে মদীনা নামকরণ, মসজিদে নববী স্থাপন, আজান, ওজু নামাজের নিয়ম ও জুম্মা প্রচলিত হয়।
হিজরী ২য় বর্ষ- যাকাত, রোজা, কিবলা, ঈদ-উল-ফিতর, ঈদ-উল-আযহা, হজ্ব পালনের প্রত্যাদেশ লাভ এবং নাখলার যুদ্ধে ও বদরের যুদ্ধ (৬২৪ খ্রীষ্টাব্দ ১৩ মার্চ, ১৭ রমজান)।
হিজরী ৩য় বর্ষ- ৬২৪ খ্রীষ্টাব্দে মদীনায় ইসলামী প্রজাতন্ত্র স্থাপন, পৃথিবীর ইতিহাসে সর্ব প্রথম লিখিত সংবিধান মদীনা সনদ প্রণয়ন এবং ওহুদের যুদ্ধ।
হিজরী ৫-৬ বর্ষ- পর্দা প্রবর্তিত, খন্দকের যুদ্ধ ও হুদাইবিয়ার সন্ধি।
হিজরী ৭ম বর্ষ- খাইবার জয় (৬২৮ খ্রীঃ) মুতার যুদ্ধ (৬২৯ খ্রীঃ) মদ নিষিদ্ধ ঘোষণা (৬২৯ খ্রীঃ)।
হিজরী ৮ম বর্ষ- ৮ম হিজরী অর্থাৎ ৬৩০ খ্রীষ্টাব্দে মক্কা বিজয়-হুনাইনের যুদ্ধে ও তায়েফে ইসলামের বিজয়।
হিজরী ৯ম বর্ষ- ৬৩০ খ্রীষ্টাব্দে ৯ম হিজরীর রজব মাসে বৃহস্পতিবার তাবুক অভিযান।
হিজরী ১০ বর্ষ- ৬৩২ খ্রীষ্টাব্দে ২৩ ফেব্রুয়ারি ১ লক্ষেরও অধিক সাহাবাসহ বিশ্বনবী (সা.) বিদায় হজ্বে আরাফাতের ময়দানে মানব জাতির জন্য দিক নির্দেশনামূলক ঐতিহাসিক ভাষণ দান।
হিজরী ১১শ বর্ষ- প্রসিদ্ধ মতানুযায়ী ৬৩২ খ্রীষ্টাব্দে ৯ জুন, ১২ রবিউল আউয়াল সোমবার সহধর্মিনী হজরত আয়েশা (রাযি.) এর কোলে মাথা রেখে বিশ্বনবী (সা.) এর ওফাত হয়।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এই মহামানব আমাদের প্রিয় নবী (সা.) এর ওপর লাখো কোটি দরূদ সালাম পেশ করছি। আমরা আশা করছি কেয়ামতের ঐ কঠিন দিনে মহান আল্লাহপাক তাঁকে আমাদের নাযাতের ওসিলা বানিয়ে দিবেন। আমিন।
(সূত্র-নির্বাচিত সহীহ আমল ৭ম সংস্করণ)
মো. রাশেদুল কবির আজাদ
লেখক ও কলামিস্ট
Posted ০৫:৪১ | শনিবার, ০৪ জানুয়ারি ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin