মঙ্গলবার ৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আ.লীগ দেশপ্রেমিক নয়, ওরা বর্গী: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   রবিবার, ০২ জুন ২০২৪ | প্রিন্ট

আ.লীগ দেশপ্রেমিক নয়, ওরা বর্গী: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশপ্রেমিক নয় ওরা বর্গী। সেজন্যই দেশের টাকা লুটে বিদেশে নিয়ে যাচ্ছে।

 

আজ দুপুরে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ)।

 

মির্জা ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীনরা আজ দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত। জাতি এখন দ্বিধা বিভক্ত। জিয়াউর রহমান তো নিজে রাজনীতিতে আসেননি। তাকে নিয়ে আসা হয়েছিল। ৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তার নেতৃত্ব দেখে ৭৫ সালে সৈনিকেরা তাকে ফের দায়িত্ব দিয়েছিলেন।

 

‘দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে। মানুষ ভোট দিতে যায় না,’ বলেন বিএনপি মহাসচিব।

 

বিএনপির মহাসচিব বলেন, আজকে পত্রিকা খুললে শুধু লুট আর লুটের খবর। কারা লুট করছে? যারা বড় বড় কর্তা। সেই আর্মির প্রধান, পুলিশের সাবেক আইজি তারা কী করেছে? সংসদে ভদ্রলোক কয়জন খুঁজে পাবেন? বাংলাদেশ ব্যাংক লুট করছে। রিজার্ভের ডলার লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। শেয়ার বাজারে রথি-মহারথিরা লুট করছে। তারা এতো বড় মানুষ তাদের পাশে যাওয়া যায় না। কেউ দরবেশ, কেউ মাফিয়া, কেউ হুজুর। আজকে চট্টগ্রামে ইসলামী ব্যাংক থেকে ১৫০ ভরি স্বর্ণ গায়েব হয়ে গেছে। কোথাও কোনো জবাবদিহিতা নেই।

‘আজকে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের ব্যবহার ও বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখলে মনে হয় তারা কী যেন হয়ে গেছে। আজকে তাদের বাহিনীর সাবেক প্রধান (বেনজীর) কোথায়? আর তাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন তিনি নাকি বেনজীর সম্পর্কে জানেন না। রাষ্ট্র আর রাষ্ট্র নেই। ভবিষ্যত প্রজন্মকে ঋণের বোঝা বইতে হবে। মাথাপিছু ঋণ এখন ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা,’ যোগ করেন তিনি।

 

মির্জা ফখরুল বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বিদেশ থেকে বিদ্যুৎ আমদানিসহ বড় বড় প্রকল্পের নামে যেসব চুক্তি করা হয়েছে তা কোনো দেশপ্রেমিক লোক করতে পারে না। আসলে এই সরকারের লোকজন তারা তো বর্গী। সেজন্যই সমস্ত টাকা লুট করে পাচার করছে। আজকে আমাদেরকে দেশ রক্ষা করতে হলে জিয়াউর রহমানের মতো নেতৃত্ব খুবই প্রয়োজন। যেভাবে তারেক রহমান মাথা উঁচু করে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সেটা অত্যন্ত সময়োপযোগী। আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে শরিক হই। জেলে যেতে হচ্ছে, মার খেতে হচ্ছে। তবুও বসে থাকলে চলবে না। রুখে দাঁড়াতে হবে।

 

বিএনপির মহাসচিব বলেন, জিয়াউর রহমানের পররাষ্ট্রনীতি জানলে আশ্চর্য হতে হবে। তিনি দেশকে একটি তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত করেছিলেন।

 

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সুসংহত করতে উদ্যোগ নেন। সকল রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন। তিনি ছিলেন দেশপ্রেমিক। সেজন্যই সকল রাজনৈতিক দল তার ওপর আস্থা রেখেছিল। কমিউনিস্ট পার্টি ও মোজাফফর সাহেবের ন্যাপ জিয়াউর রহমানের ১৯ দফাকে সমর্থন দিয়েছিলেন।

 

বিএনপির মহাসচিব  বলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন অত্যন্ত পরিপাটি ও দক্ষ সামরিক অফিসার। তিনি পেশাগত কাজে পাকিস্তানে বেশিরভাগ সময় থাকলেও তিনি বাংলাদেশের জন্য অতি কাতর ছিলেন। পড়ালেখা করতে প্রচুর। তিনি নেতৃত্ব গুণ জন্মগতভাবে পেয়েছিলেন। তাকে কিন্তু আমরা কেউ চিনতাম না। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েই রাজনীতির পাদপীঠে আবির্ভূত হন। এটাকে আওয়ামী লীগের লোকেরা মানতে পারে না। তবে বাংলাদেশ ও জাতি যতদিন থাকবে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা থাকবে এটাই সত্যি।

 

আয়োজক সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও শাহাদাত বার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী মাহবুব আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন— ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন বেপারী, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর প্রমুখ।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ০৯:৫৫ | রবিবার, ০২ জুন ২০২৪

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

(822 বার পঠিত)
advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com