| শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০১৩ | প্রিন্ট
ঢাকা, ৩০ নভেম্বর : বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখপাত্র ও যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমরা কোনো গোপন সংগঠন করি না। এজন্য তলে তলে নয়, আলোচনা যদি হয়, তা প্রকাশ্যে হতে হবে। তবে অবশ্যই আলোচনার পূর্বে নির্দলীয় সরকারের গণদাবি সরকারকে নীতিগতভাবে মেনে নিতে হবে।
শনিবার বিকালে সহ-দফতর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
একই সঙ্গে গ্রেপ্তারকৃত দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মুক্তি দাবিও জানান তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, অবৈধ সরকারের মন্ত্রীরা আলোচনার নামে ধুম্রজাল সৃষ্টি করছে। আলোচনার আগে সব নেতা-কর্মীর মুক্তি দিয়ে মামলা প্রত্যাহার করে আলোচনার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
গণ আন্দোলনের তীব্রতা দেখে সরকার ভীত হয়ে পড়েছে এমন দাবী করে তিনি আরো বলেন, সরকার এখন অতিমাত্রায় ভীত হয়ে দমন-পীড়ন, হামলা-মামলা, হত্যা-গ্রেপ্তার চালিয়ে শেষ রক্ষা পেতে চায়। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী দেয়, সব স্বৈরাচারের পতন হয়েছে গণআন্দোলনের মুখে।
যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ ও নির্বাহী কমিটির সদস্য বেলাল আহমেদকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতিতে তিনি বলেন, দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ভাংচুর ও গ্রেপ্তার ঘটনা জঘণ্যতম। এটি ইতিহাসের কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়ে থাকবে
বিবৃতিতে সালাহউদ্দিন আহমেদ আরো বলেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা ৭২ ঘন্টার অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিনে সারাদেশে পুলিশ-আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং আওয়ামী লীগের সশস্ত্র ক্যাডারদের হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় দুই জন নিহত হয়েছে। কঙবাজারের চকরিয়া উপজেলার যুব দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হালিমকে হত্যা করার পর তার নামাজে জানাজায় পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসী গুলি চালিয়ে বিএনপি নেতা জাকের হোসেনকে হত্যা করে।
এছাড়াও শনিবার রাজধানীসহ সারাদেশে সাড়ে তিন‘শয়ের অধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছে তিন শতাধিক নেতা-কর্মী। প্রায় ৪ হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিনে জনগন স্বত:স্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছে দাবি করে এজন্য দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষ থেকে দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
যুগ্ম মহ্সচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এদেশের শতকরা ৯০ ভাগ মানুষের দাবি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন। জাতিসংঘ থেকে শুরু করে সব আন্তর্জতিক সম্প্রদায় এদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কামনা করে। আমরা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ব্যবস্থার কথা সকল সময়ে দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু সরকার আমাদের দাবি উপেক্ষা করে এক দলীয় নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাকশাল কায়েম করতে চায়।
Posted ১৫:০১ | শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০১৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin