সোমবার ১৪ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আইভীসহ সাবেক দুই এমপির বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | প্রিন্ট

আইভীসহ সাবেক দুই এমপির বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, নোয়াখালী-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আয়শা ফেরদৌস ও যশোর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রনজিত কুমার রায়ের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

 

আজ দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

দুদকের উপ-পরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের অনুসন্ধানে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ২০০৩ সালে চার দলীয় জোট সরকারের আমলে প্রথম নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) প্রথম নির্বাচনে শামীম ওসমানকে লক্ষাধিক ভোটে হারিয়ে দেশের প্রথম নারী মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৬ ও ২০২২ সালে তিনি ফের নাসিক সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন।

অভিযোগ রয়েছে, আইভীর ব্যক্তিগত সহকারী আবুল হোসেন ক্ষমতার অপব্যবহার ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে সিএনজি, অটোরিকশা থেকে চাঁদাবাজি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তার নিজ নামে নারায়ণগঞ্জ মহানগরে ৪-৫টি ফ্ল্যাট রয়েছে। আইভীর গাড়িচালকের নামে নারায়ণগঞ্জ মহানগরের বর কল এবং পানির কল এলাকায় দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে।

 

এছাড়া নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলে কঠিন বর্জ্য সংগ্রহ এবং অপসারণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা লোপাট করেছেন আইভীর দুই ভাই আলী রেজী রিপন এবং আহম্মদ আলী রেজা উজ্জ্বল।

নারায়ণগঞ্জ জেলায় ঐতিহ্যবাহী চিত্ত বিনোদন ক্লাব ভেঙে মার্কেট নির্মাণ, বাংলাদেশ রেলওয়ের ১৮ একর জমি দখল করে সেখানে শেখ রাসেল পার্ক নির্মাণসহ আইভীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক।

 

নোয়াখালী-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আয়শা ফেরদৌসের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অঢেল সম্পদ গড়ার অভিযোগ রয়েছে দুদকের কাছে। আয়শার উল্লেখযোগ্য সম্পদের মধ্যে রয়েছে হাতিয়াববাজারে বহুতল ভবন, ভূইয়ার হাট নামক স্থানে তিনতলা বাড়ি, পুশালী বাজারে চারতলা মার্কেট। তার স্বামীর নামেও বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ, ব্যাংকে টাকা, গাড়ি এবং মৎস্য ব্যবসাসহ নানান সম্পদ রয়েছে।

 

২০০৯ সালের পূর্বে তিনি ছিলেন একজন সাধারণ গৃহিণী। তার আয়ের কোনো উৎস ছিল না। পরে এমপি নির্বাচিত হয়ে তার নিজ নামে ও নির্ভরশীলদের নামে দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে তথ্য রয়েছে দুদকের কাছে।

 

অন্যদিকে রনজিত কুমার রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। নিজ নামে ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা ও স্ত্রীর নামে ৭০ হাজার টাকা ও ১৫ হাজার টাকা মূল্যের ৫ তোলা সোনা। পরে ২০২৩ সালে যা বেড়ে দাঁড়ায় ৪ কোটি ৪৯ লাখ ৮ হাজার টাকা ও স্ত্রীর নামে ১ কোটি ৪৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা।

দুদকের কাছে অভিযোগ রয়েছে, তার ছেলে রাজিব কুমার রায় প্রতি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি কাজের জন্য ৫ শতাংশ হারে কমিশন গ্রহণ করতেন। তার নিজ ও ছেলের নামে ভারতের সল্টলেক এলাকায় বাড়িও রয়েছে। এই এমপির পরিবার ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে জমি দখল, মানিলন্ডারিং, নিয়োগ বাণিজ্য ও টেন্ডারবাজিসহ নানাবিধ দুর্নীতির মাধ্যমে তারা দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ০৮:৫৮ | বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com