
| বৃহস্পতিবার, ০৭ এপ্রিল ২০২২ | প্রিন্ট
যানজট রাজধানীবাসীর নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। রমজানের প্রথম দিন থেকেই অলিগলি থেকে রাজপথ সর্বত্রই দিনভর যানজট লেগে থাকছে। আজ বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) সাপ্তাহিক কর্মদিবসের শেষ দিনেও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
সকাল থেকেই বাস, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, হিউম্যান হলার, ব্যাটারি ও পায়ে চালিত রিকশাসহ অসংখ্য যানবাহনে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানজট তৈরি হয়। বিশেষ করে ছুটির সময়ে স্কুলের সামনে বেশি যানজট লক্ষ্য করা যায়।
যানজট সামলাতে ট্রাফিক পুলিশকে রীতিমতো হিমশিম খেতে দেখা যায়। পাড়া মহল্লায় কমিউনিটি পুলিশ দায়িত্ব পালন করলেও রাস্তার আয়তনের তুলনায় যানবাহন বেশি হওয়ায় অধিকাংশ সময় যানবাহন পিঁপড়ার গতিতে চলে। কোনো কোনো সময় পথচারীকে পায়ে হেঁটে যানবাহনের আগে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা যায়।
আজ বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর আজিমপুর, নিউমার্কেট, সায়েন্সল্যাবরেটরি, শাহবাগ ও লালবাগ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তাঘাটে যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ। আজিমপুর পুরাতন কবরস্থান থেকে আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তা গত বেশ কিছুদিন যাবত খোঁড়াখুঁড়ির কারণে স্বাভাবিক চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দু-পাশের রাস্তা সরু হওয়ায় যানবাহন ধীর গতিতে চলছে।
এমন বেহাল দশার মধ্যেও কেউ কেউ আগে যাওয়ার জন্য লাইন ভেঙে সামনে এগিয়ে যাওয়ায় প্রচণ্ড যানজটের সৃষ্টি হতে দেখা যায়। কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্টকে দৌড়ঝাপ করে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালাতে দেখা যায়। ওই এলাকায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল আজিমপুর শাখা ও অগ্রণী স্কুল থাকায় শত শত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা স্কুল শেষে শিক্ষার্থীদের নিতে ভিড় করায় যানবাহন ও মানুষের ভিড়ে পথচলা দায় হয়ে পড়ে।
ভিকারুননিসা নূন স্কুলের একজন অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রোজার দিনে স্কুলের ক্লাস অনলাইনে নিলে কী ক্ষতি হতো? সেহরি খাওয়ার পর সকাল ৮টায় মেয়েকে নিয়ে স্কুলে যেতে হবে, এ চিন্তায় ঘুম হয় না। সকালে রাস্তায় যানজটে পায়ে হেঁটে যেতে হয়। মাত্র দু-ঘণ্টার ক্লাস শেষে ফের দৌড়ে স্কুলে যেতে হয়। যানজটের কারণে ভাড়াও দ্বিগুণ গুণতে হয়। এত গরমে প্রাণ যায় যায় অবস্থা। মেয়েও রোজা রেখে ক্লান্ত হয়ে ঘরে ফেরে।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মিরপুর রোডের নিউমার্কেটের সামনের চৌরাস্তায় প্রচণ্ড যানজট দেখা যায়। এক সিগন্যালেই দীর্ঘ সময় বসে থাকতে হয়। এক পাশের সিগন্যাল শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্য তিন পাশ থেকেই গাড়ি সামনে এগুতে দেখা যায়। এ সময় একজন পুলিশ কনস্টেবলকে বাসের গতি রোধ করে রাগারাগি করতে দেখা যায়।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে কর্তব্যরত ট্রাফিক কনস্টেবল বলেন, কারো ধৈর্য্য নেই। সবাই আগে যেতে চায়। এমন অবস্থায় কিছুক্ষণ ডিউটি করলেই ইউনিফর্ম ঘামে ভিজে যায়। ভেজা ইউনিফর্মেই ডিউটি করে যেতে হয়। রাস্তাঘাটে যানজটের জন্য যানবাহন চালকরাও বহুলাংশে দায়ী। তারা সবাই সবাইকে ওভারটেক করে সামনে যেতে চায়। সূএ:জাগোনিউজ২৪.কম,
Posted ০৮:৫৭ | বৃহস্পতিবার, ০৭ এপ্রিল ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain